দু’চার কেজি নয়, এক একটি মুরগির ওজন ১৫ থেকে ২০ কেজি। খেতে দুর্দান্ত, অসাধারণ টেস্ট এই বিশেষ প্রজাতির মুরগির। মাংস প্রতি কেজি ৫০০ টাকারও বেশি দরে বিক্রি হয়, মুরগি থেকে পাওয়া ডিমগুলো বিক্রি হয় প্রায় চল্লিশ টাকা প্রতি পিস। তাই খুব স্বল্প পুঁজি দিয়ে এই মুরগির প্রতিপালন শুরু করলে অল্প দিনেই বেশ মোটা অংকের লাভের মুখ দেখতে পারবেন আপনিও।
advertisement
আরও পড়ুন: ফল নয়, এই গাছের চারা বিক্রি করেই মালামাল কলেজ পড়ুয়া! খুব সহজে চাষ করতে পারেন আপনিও
পিংলা থানার সুতছাড়া এলাকার বাসিন্দা সমীর মল্লিক, আবুকার সাহা দুই ব্যক্তি শুরু করেছেন টার্কি ও সিল্কি মুরগির চাষ। সামান্য পরিচর্যায় এই বিশেষ প্রজাতির মুরগি প্রায় ১৫ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়। বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হয় কেজি প্রতি প্রায় ৫০০ টাকারও বেশি।তাই সামান্য পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করলে কম দিনে বেশ লাভ মিলবে।
প্রসঙ্গত, হুগলি জেলার বালি থেকে এই ব্রিড নিয়ে এসে নিজের বাড়িতেই প্রতিপালন শুরু করেন এই দুই ব্যক্তি। প্রতি পিস ব্রিড কেনেন চারশ থেকে সাড়ে চারশ টাকা দরে। পরিচর্যা বলতে সামান্য লক্ষ নজর। বিশেষ কোনও খাবার নয়, যেকোনও খাবার খেতে অভ্যস্ত এই মুরগি। মাত্র মাস ছয়েকের মধ্যেই ভাল ওজনের হয় এই মুরগি।
দেখতে কাছাকাছি ময়ূরের মত হলেও খেতে বেশ সুস্বাদু এই মুরগির মাংস। প্রচলিত গ্রাম বাংলায় এই মুরগির চাষ হয় না বললেই চলে। স্বাভাবিকভাবে বাজারে বেশি দামও রয়েছে এই মুরগির। পুষ্টিগুণ সম্পন্ন টার্কি এবং সিল্কির বাজার দর ভাল থাকায় বেশ লাভ জুটছে এই মুরগির চাষ করে। তাই প্রথাগতভাবে ধান চাষের পরিবর্তে বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে এই মুরগির চাষ করে লাভের বিষয় দেখাচ্ছেন এই দুই ব্যক্তি।
রঞ্জন চন্দ





