এ বিষয়ে মিঠু বর্মন জানান, “চাষিদের স্বল্প পরিশ্রম এর পাশাপাশি স্বল্প খরচে এই ফলের চাষ করা সম্ভব। বারোমাসি এই মাল্টা মোটামুটি আগস্ট মাস থেকেই হারবেস্ট করা হয়। এরপর ফল কমে গিয়ে আবার নতুন করে ফুল আসে গাছে। আবারও তা থেকে বারোমাসি ফল হিসেবে গাছ ভর্তি মাল্টা ধরে। চিরাচরিত চাষের বাইরে গিয়ে এই চাষ শুরু করার পর সেভাবে কোন অভিজ্ঞতা না থাকার ফলে প্রথম অবস্থায় একটু সমস্যায় পড়লেও বর্তমানে সেই সমস্যা আস্তে আস্তে কাটিয়ে আগামী দিনে এই চাষ আরও বৃহৎ আকারে করার পরিকল্পনা রয়েছে মিঠু বাবুর।”
advertisement
আরও পড়ুন: কম পুঁজিতে বেশি লাভ মানেই রঙিন মাছের ব্যবসা !
মিঠু বাবুর বাগানে গেলে দেখা যায়, গতানুগতিক চাষের বাইরে গিয়ে চাষ করবার জমিতে সারি সারি গাছে ঝুলে রয়েছে মাল্টা। কোন কোন গাছে পাতা কম ফল বেশি। আর এই ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে অনেক গাছ।
চাহিদা অনুযায়ী এই ফল বাইরেও রফতানি করা হয়। তাই মিঠু বাবু বর্তমানে অন্যান্য চাষের পাশাপাশি মাল্টা চাষে ব্যাপকভাবে জোর দিয়েছেন। এমনকি, বাগানে মানব দেহে ক্ষতিকারক রাসায়নিক কীটনাশক বা সার ব্যবহার না করে, ভেষজ কীটনাশক তৈরি করে পোকামাকড় দমন করা হয়। এতে ভেজালেরও কোন আশঙ্কা নেই। বর্তমানে তাঁর এই চাষে অনুপ্রাণিত হয়ে বেশ কিছু মানুষও চিরাচরিত চাষ বাদ দিয়ে এই ধরনের মাল্টা চাষ শুরু করেছে। এমনকি মিঠু বাবুর দাবি, এই ফলের চাষ কেউ যদি মনোযোগ সহকারে করে, তাহলে প্রচুর পরিমাণে লাভের মুখ দেখবে এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
সুস্মিতা গোস্বামী