শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা জানান, "মূল্যস্ফীতি দূর করা কোনও সহজ ব্যাপার নয়। এটি হ্রাস করার প্রতিটি পদ্ধতির নিজস্ব খরচ রয়েছে। এটি তখন হয় যখন আপনি বাইরে থেকে আসা কিছু সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। আমরা এর প্রভাব কমানোর চেষ্টা করছি। মুদ্রাস্ফীতি কমাতে পারা সম্ভব, কিন্তু দূর করা সম্ভব নয়।" তিনি বলেছেন যে আর্থিক বছরের দ্বিতীয়ার্ধে দাম হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উন্নত দেশগুলি দ্বারা আর্থিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রুশ ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব কমতে পারে। চিনে লকডাউন এবং মন্দাও একটি কারণ। অনুমান করা হচ্ছে যে ভারতের সাধারণ মানুষ অক্টোবর থেকে অর্থাৎ যখন উৎসবের মরসুম শুরু হয় তখন থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: বিশ্বাস করে ভালোবেসেছেন, ঠকেছেন বিশ্বাস করে! আত্মহত্যা কেন? বিদিশার মৃত্যুতে প্রশ্ন
প্রসঙ্গত, শনিবার পেট্রোলে কেন্দ্রীয় আবগারি শুল্ক প্রতি লিটারে ৮ টাকা এবং ডিজেলে প্রতি লিটারে ৬ টাকা কমিয়েছে কেন্দ্র। যার ফলে ভোক্তাদের জন্য দাম যথাক্রমে ৯.৫ টাকা এবং ৭ টাকা কমেছে। পিএম উজ্জ্বলা প্রকল্পের অধীনে নয় কোটি সুবিধাভোগীকে কভার করার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার প্রতি ২০০ টাকা ভর্তুকিও ঘোষণা করা হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলির জন্য সরকারকে প্রতি বছর যথাক্রমে ১ লক্ষ কোটি এবং ৬১০০ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। এমনটাই ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)।
অন্য দিকে, মুদ্রাস্ফীতির কারণে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের রেপো রেট বৃদ্ধি করেছে। যার অর্থ হল সমস্ত ব্যাঙ্ক এবং ঋণদাতা সংস্থাগুলি তাদের সুদের হার বৃদ্ধি করবে। যাঁরা নতুন করে ঋণ নিতে যাবেন তাঁদের ক্ষেত্রে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে যাঁরা পুরনো লোনের কিস্তি শোধ করছেন তাঁদেরও উচ্চ হারে সুদ প্রদান করতে হবে।