এফপিসি নাসিকের ডিন্ডোরিতে দেশের প্রথম বেসরকারি কৃষি বাজার খোলার লাইসেন্স পেয়েছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাজার তৈরি হয়ে যাবে। এফপিসি-র সিইও বিলাস শিন্ডে বলছেন, ‘নাসিকের মান্ডির পরিকাঠামো বিশ্বের যে কোনও বাজারের সঙ্গে পাল্লা দেবে। ৯০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই শেষ। নিলাম এবং স্টোরেজের জন্য আলাদা জায়গা তৈরি হয়েছে। ২০ হাজার টন সবজি সংরক্ষণ করা যাবে’।
advertisement
আরও পড়ুন: আজকের ডে ট্রেডিং গাইড, এই ৪ স্টকে মালামাল হওয়ার সম্ভাবনা!
অফলাইন অনলাইন ট্রেডিং: সবজি খোলা বাজারেই বিক্রি হয়। কৃষকরা ক্ষেত থেকে ফসল নিয়ে আসেন। খরিদ্দার বা ব্যবসায়ীরা টাকা দিয়ে কিনে নেন। কিন্তু কৃষকরা বারবার অভিযোগ করেন, ব্যবসায়ীরা পুরো টাকা মেটায় না। দামও অনেক কম মেলে। কিন্তু এখানে সেই সমস্যা হবে না। শিন্ডে বলছেন, ‘প্রতিটা বেচাকেনার হিসেব রাখা হবে। এতদিন এপিএমসি (কৃষি পণ্য বাজার কমিটি) ছড়ি ঘোরাত। এখানে তা হবে না। একচেটিয়া অধিকার কারও থাকবে না। কৃষকরাই হবেন বাজারের মালিক’।
আরও পড়ুন: ভুয়ো কল, এসএমএসের মাধ্যমে প্রতারিত কৃষকরা, পিএম কিষাণ নিয়ে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের!
অনলাইনে ব্যবসার জন্য সহ্যাদ্রি ফার্মার প্রোডিউসার কোম্পানি একটি বিশেষ প্রোগ্রাম তৈরি করেছে। শিন্ডের কথায়, ‘আমরা সবাইকে সমান সুযোগ দিতে চাই। বর্তমানে যে বিপণন ব্যবস্থা রয়েছে তা যথেষ্ট নয়। কৃষকদের ফসল বিক্রির জন্য বিশাল বাজার রয়েছে। কিন্তু সেখানে তাদের প্রবেশাধিকার নেই। এই ইকোসিস্টেম এবার বদলাবে’।
নাসিকের কৃষকরা বলছেন, আঙুর, কিসমিসের মতো ফল এপিএমসিতে কেনাবেচা হয় না। তাঁদের অভিযোগ, কয়েকটি গ্রুপ তাসগাঁও এবং পিম্পলগাঁওয়ে কিশমিশের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের জন্য অন্য কোথাও ভাল দাম পাওয়া কঠিন। সহ্যাদ্রির কৃষক মান্ডি তৈরি হলে অবস্থা বদলাবে বলে আশায় বুক বাঁধছেন কৃষকরা। শিন্ডে বলছেন, ‘বেসরকারি বাজারে প্রতিযোগিতা হবে। কৃষকরা সঠিক দাম পাবেন। বাজার ব্যবস্থাকে আরও ভাল করতে হলে প্রতিযোগিতা আবশ্যক’।