দেশজুড়ে গ্রামীণ ও নগর অ়ঞ্চলের কারিগর ও শিল্পীদের সাহায্য করবে এই স্কিমটি। পিএম বিশ্বকর্মা স্কিমের অধীনে আঠারোটি ঐতিহ্যবাহী শিল্প আওতাভুক্ত করা হবে। এগুলির মধ্যে রয়েছে ১) কাঠমিস্ত্রি, ২)নৌকা প্রস্তুতকারী, ৩) অস্ত্র প্রস্তুতকারী, ৪) কামার, ৫) হ্যামার ও টুলকিট মেকার, ৬) তালা প্রস্তুতকারী, ৭) স্বর্ণাকার, ৮) কুমার, ৯) ভাস্করশিল্প, পাথর ভাঙা, ১০) মুচি (জুতোর কারিগর), ১১) রাজমিস্ত্রি, ১২) ঝাড়ু/মাদুর/ঝাডু নির্মাতা/কয়ার ওয়েভার, ১৩) পুতুল ও খেলনা নির্মাতা (ঐতিহ্যবাহী), ১৪) নাপিত, ১৫) মালা প্রস্তুতকারী, ১৬) ধোপা, ১৭) দর্জি ও ১৮) মাছ ধরার জাল নির্মাতা।
advertisement
পিএম বিশ্বকর্মার মূল দৃষ্টি থাকবে এর গুণমান উন্নত করার পাশাপাশি কারিগর ও শিল্পীদের সামগ্রী ও পরিষেবার কাছে পৌঁছে যাওয়া এবং তাঁরা যাতে স্বদেশী ও বিশ্ব মূল্যায়নের শৃঙ্খলার সাথে একত্রিত হতে পারেন তা নিশ্চিত করা।জনসমাবেশে ভাষণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে ঐতিহ্যবাহী কারিগর ও শিল্পীদের প্রতি বিশ্বকর্মা জয়ন্তী উৎসর্গ করা হয়েছে। দেশজুড়ে লক্ষাধিক বিশ্বকর্মার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়ে তিনি আনন্দ প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রদর্শনী দেখার এবং কারিগর ও শিল্পীদের সাথে বার্তলাপ করার চমৎকার অভিজ্ঞতার উপর আলোকপাত করেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে পিএম বিশ্বকর্মা স্কিমটি লক্ষাধিক শিল্পী ও তাঁদের পরিবারের জন্য আশার আলো হিসেবে এসেছে।১৩,০০০ কোটি টাকার ব্যয় সহ পিএম বিশ্বকর্মার পুঁজি সম্পূর্ণ বরাদ্দ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এই স্কিমের অধীনে বায়োমেট্রিক ভিত্তিক পিএম বিশ্বকর্মা পোর্টাল ব্যবহার করে কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে বিনামূল্যে বিশ্বকর্মাদের পঞ্জীয়ন করা হবে।
বিশ্বকর্মা প্রমাণপত্র ও আইডি কার্ডের মাধ্যমে তাঁদের স্বীকৃতি প্রদান করা হবে, মৌলিক ও উন্নত প্রশিক্ষণের দ্বারা দক্ষতার উন্নয়ন করা হবে, ১৫,০০০ টাকা টুলকিট ইনসেনটিভ, ৫ শতাংশ সুদের হারে ১ লক্ষ টাকা (প্রথম ধাপ) এবং ২ লক্ষ টাকা (দ্বিতীয় ধাপ) পর্যন্ত জামানতহীন ঋণ, ডিজিটাল লেনদেনের জন্য ইনসেনটিভ এবং মার্কেটিং সহায়তা।
আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা UNESCO-র! উছ্বসিত মোদি, আবেগে ভাসলেন মমতা
ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পে নিয়োজিত ব্যক্তিদের সাহায্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি স্থায়ীভাবে নিবদ্ধ হয়ে আছে। এই নিবদ্ধ দৃষ্টি শুধুমাত্র কারিগর ও শিল্পীদের আর্থিক সাহায্যের জন্য চালু করা হয়নি বরং তার পাশাপাশি এর লক্ষ্য রয়েছে স্থানীয় সামগ্রী, শিল্প ও কারুশিল্পের মাধ্যমে প্রাচীন ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যকে জীবিত রাখা ও সমৃদ্ধ করে তোলা।