স্বল্প সময়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ চাষে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন চাষীরা। ফলে কৃষির পরিবর্তে মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন তারা। ছোট ছোট পুকুর জলাশয়ে উন্নত জাতের মাছ চাষ করে স্বচ্ছল হয়েছেন অনেকেই। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বিশ্বনাথপুর এর ইউসুফ আলী।একটা সময় কৃষিকাজের পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করত।
আরও পড়ুন: বাঘের সঙ্গে ভয়ঙ্কর লড়াই! শেষরক্ষা হল না…সুন্দরবনের জঙ্গলে মর্মান্তিক কাণ্ড
advertisement
কিন্তু আজ নিজের উদ্যোগে নিজের পুকুরে দেশীয় মাছের পাশাপাশি কই, সিংগি ,মাগুর মাছ চাষ করে আজ দারুণ সাফল্যের মুখ দেখছেন। তবে তার আক্ষেপ সরকারিভাবে কোন সুযোগ-সুবিধা তিনি পাচ্ছেন না। ইউসুফ আলি বলেন, ‘‘আগে কৃষিকাজের পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতাম। একটা সময় হসপিটালের নার্সে কাজের জন্য ও চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সেখানে সফল হতে পারেননি। টাকা দিয়েও বর্তমানে চাকরি পাওয়া যাচ্ছে না।’’
তারপর থেকে দেখলাম যে মাছ চাষ করে ভাল লাভ পাওয়া যাবে। তখন থেকে মাছ চাষ শুরু করি। গত ১৯৯৮ সাল থেকে মাছ চাষ করে আসছেন ইউসুফ আলী।
রুই ,কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস সিলভার কাপ ও ব্রিগেট এসব মাছ চাষের পাশাপাশি বর্তমানে সাত বছর হল তিনি মাগুর, সিঙ্গি ,টেংরা পাবদা, কই, এসব মাছও চাষ করছেন। ছোট ছোট ডোবাতে তিনি ক্যাটফিশ জাতীয় শিঙ্গি, মাঙ্গুর, কই মাছ চাষ করেন । ইউসুফ আলী বলেন রুই ,কাতলা মাছ চাষের থেকে বেশি লাভ ক্যাটফিশ জাতীয় শিঙ্গি, মাগুর চাষে।
পিয়া গুপ্তা