দিনহাটা থেকে শুরু হওয়া শুয়োর পালনের এই ব্যবসা এখন রমরমিয়ে চলছে ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদী পাড়গুলিতে। কখনও তিস্তা বা কখনও জলঢাকা, এক পাল শুয়োর নিয়ে এখন জলপাইগুড়ির বিভিন্ন নদীর তীরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিকেরা। নদীর বিভিন্ন তীরবর্তী এলাকা গুলিতে যে নরম জমি রয়েছে, সেখানে তাঁরা খাবার সংগ্রহ করছেন। কারণ শুয়োর পালনে যে খাবার দরকার হয়, সেই খাবার কিনতে হচ্ছে না মালিকদের। এবার প্রশ্ন আসতেই পারে, কীভাবে হচ্ছে এই শুয়োর প্রতিপালনের ব্যবসা?
advertisement
মালিক শুয়োর কিনে শ্রমিকদের দিয়ে যান। দশটি শুয়োর নিয়ে ব্যবসা শুরু করলে বছরের শেষে দেখা যায় সেই শুয়োরের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় কয়েক হাজার। এতে লাভ হয় প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা। কর্মরত শ্রমিকদের তাদের পাওনা বুঝিয়ে বাকি থাকে মালিকের লাভ। এদিকে যেমন সুলভ পরিমাণ অর্থ উপার্জন হচ্ছে শ্রমিকদের, অন্য দিকে ভাল লাভ থাকছে মালিকেরও। এরই সঙ্গে লাভ হচ্ছে নদী পাড়ে কৃষকদেরও। আলাদা করে কৃষিজমি হাল দিতে হয় না তাদের। পুরো পদ্ধতিতে ব্যবসায় সংযুক্ত প্রত্যেকেরই লাভ হয় বহু।
সুরজিৎ দে