পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম গোটা দেশেই একশো ছাড়িয়েছে৷ ফলে লিটার পিছু পাঁচ টাকা দাম কমলেও পেট্রোলের দাম একশোর উপরেই থাকবে৷ ডিজেলের দাম একশোর নীচে নেমে আসবে ঠিকই, তবুও তা সাধারণের পকেটে চাপ বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্টই৷
আরও পড়ুন: Diwali-র আগেই মেগা বাম্পার খবর! সরষের তেল-সহ সব রকমের ভোজ্য তেলের দামে জোরদার পতন!
advertisement
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের জ্বালানির দাম কমানোর পিছনে অন্য অঙ্ক দেখছে রাজনৈতিক মহল৷ গতকালই গোটা দেশে হওয়া উপনির্বাচনে বিজেপি-র ফল যথেষ্ট হতাশাজনক হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গে চারটি আসনেই হেরেছে বিজেপি৷ শুধু তাই নয়, বিজেপি শাসিত হিমাচল প্রদেশ, কর্ণাটকের মতো রাজ্যেও কংগ্রেসের কাছে আসন খুইয়েছে তারা৷ হিমাচল প্রদেশে আগামী বছর নির্বাচন৷ তার আগে সেখানে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র এবং একটি লোকসভা আসনে হেরেছে বিজেপি৷ হিমাচল ও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীদের নিজেদের এলাকাতেই আসন খোয়াতে হয়েছে৷
বিজেপি-র এই হতাশাজনক ফলের পিছনে আসলে আমজনতার ক্ষোভের আঁচই রয়েছে বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্বও৷ কারণ পেট্রোল, ডিজেলের লাগামছাড়া দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যেমন বেড়েছে৷ শুধু পেট্রোল, ডিজেলের দামই নয়, রান্নার গ্যাসের দামও অনেকটাই বেড়েছে৷
আগামী বছর উত্তর প্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে নির্বাচন৷ তার আগে আমজনতার ক্ষোভের আঁচ কমাতেই পেট্রোল, ডিজেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্র বাধ্য হলে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷