ব্যক্তিগত আর্থিক পরামর্শদাতা মমতা গোদিয়াল জানিয়েছেন যে প্রায় প্রতিটি চাকরিজীবী মানুষের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা দেখা যায়। তারা পুরো মাস জুড়ে হিসাব করে চললেও, মাসের শেষের ৫-৭ দিন সব থেকে বেশি সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি কয়েকটি পরামর্শও দিয়েছেন। মমতা গোদিয়াল জানিয়েছেন যে এই সমস্যা সমাধানের জন্য সবার আগে নিজেদের আয় এবং ব্যয়ের ওপর নজর দিতে হবে।
advertisement
প্রয়োজনীয়তা এবং বিলাসিতার পার্থক্য
প্রথমেই বুঝতে হবে কোন জিনিসটি সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ কোন জিনিসটির দরকার সব থেকে বেশি। এর সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে হবে প্রয়োজনীয় জিনিসের সঙ্গে স্বপ্নের জিনিসের পার্থক্য। দরকারি দ্রব্য এবং বিলাসিতার দ্রব্যের সঠিক পার্থক্য নির্ধারণ করতে পারলেই খরচ কমে সঞ্চয়ের সমস্যা অনেকাংশে সমাধান হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কিং পরিষেবা এখন আরও উন্নত, নতুন দুটি স্কিম লঞ্চ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি!
নিজেদের আয় নির্ধারণ
মমতা গোদিয়াল জানিয়েছেন যে আয়ের উৎস সম্পর্কে সঠিক ধারণআ থাকা দরকার। চাকরি থেকে কত টাকা আয় হবে, ব্যবসা থেকে কত টাকা আয় হবে, অন্যান্য বিনিয়োগ থেকে কত টাকা আয় হবে ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকলে পরিকল্পনা করে এগানো সম্ভব। প্রতি মাসে কত টাকা আয় হবে তার সঠিক হিসাব জানা থাকলে, সেই বুঝে ব্যয়ের মাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব।
নিজেদের ব্যয় নির্ধারণ
আয়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যয়ের উৎস সম্পর্কেও সঠিক ধারণা থাকা দরকার। প্রতি মাসে কোন কোন ক্ষেত্রে কত টাকা ব্যয় করা হবে, তার সঠিক হিসাব করতে পারলে মাসের শেষে টাকার অভাব হবে না। এর জন্য কয়েকটি উপায় মেনে চলা দরকার-
- কোনও জিনিস কিনে তার বিল যত্ন করে রাখতে হবে।
- প্রতি দিনের খরচের হিসাব রাখতে হবে।
- প্রতি মাসের শেষে খরচের হিসাব করতে হবে।
- নিয়মিত ভাবে পর পর ৩ মাস করলেই, প্রতি মাসের সঠিক ব্যয়ের হিসাব নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।
বাজেট তৈরি
এই নিয়ম অনুসরণ করলেই মাসের খরচ বা বাজেট সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হয়ে যাবে। যদি দেখা যায় যে মাসের শেষে সব খরচ মিটিয়েও হাতে টাকা থাকছে, তখন সেই টাকা নিজের ইচ্ছা মতো বিনিয়োগ করে তাকে বাড়ানো যায়। আর যদি দেখা যায় যে খরচের পরিমাণ বেশি, তখন বেশ কিছু জায়গায় খরচের বহর কমিয়ে আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে প্রথমে ভারসাম্য আনতে হবে, তার পরে চেষ্টা করতে হবে সঞ্চয়ের। প্রতি মাসে এই হিসাব রাখতে পারলে সঞ্চয়ের পথ সহজ এবং সুগম হবে।
আরও পড়ুন: ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই বানিয়ে ফেলতে পারবেন প্যান কার্ড! দেখে নিন কীভাবে....
ফিনান্সিয়াল গোল
সব থেকে বড় কথা হল- কোথায় পৌঁতে চাইছি, সঞ্চয়ের টাকা বিনিয়োগ করে তার পরিমাণ কতটা বাড়াতে চাইছি, এর জন্য কতটা সময় লাগতে পারে- এই সব বিষয়েই একটা স্বচ্ছ ধারণা থাকা দরকার, একটা ফিনান্সিয়াল গোল ঠিক করা দরকার। অন্যথায় সঞ্চয় এবং পরের ধাপে বিনিয়োগ করেও কোনও লাভ হবে না।