আজকাল বাজারে বেশ কিছু প্রকল্প এসেছে যাতে বিমা এবং পেনশন, দুটোরই সুবিধা পাওয়া যায়। অর্থাৎ পেনশন কাম বিমা প্ল্যান। যাতে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে বিমা মেলে সঙ্গে পাওয়া যায় পেনশনের সুবিধা। কিন্তু এ জন্য মিশ্র পণ্য কিনতে হবে। আর্থিক উপদেষ্টাদের মতে, এই ধরনের মিশ্র পণ্য থেকে দূরে থাকাই ভালো।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন ৭০ টাকা বিনিয়োগ করে লাখপতি, মিলবে সুদের উপর সুদ, দেখুন কীভাবে!
advertisement
এই প্রসঙ্গে স্ক্রিপবক্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা প্রতীক মেহতা বলছেন, যে সব প্ল্যানে বিমা এবং পেনশনের সুবিধা একসঙ্গে দেয় তারা সম্পূর্ণ কভার মেটায় না। অর্থাৎ যদি কেউ ইতিমধ্যে বিমার টাকা পেয়ে থাকেন তাহলে পেনশন নিয়ে সমস্যা হতে পারে। আবার পেনশনের টাকা পেতে থাকলে বিমার টাকা পেতে হয়রানির মুখোমুখি হওয়া বিচিত্র নয়। এই ধরনের প্ল্যানে শুধু খরচ বাড়ে। লাভ কম হয়। একই কথা বলছেন ফিনসেফ ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মিরান আগরওয়াল। তাঁর মতে, পেনশনের জন্য এই ধরনের মিশ্র পরিকল্পনা বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়৷ কারণ মেয়াদ শেষে এগুলো ভাল রিটার্ন দেয় না।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বড়লোক হয়ে গিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা, কী এই জিলিকা ক্রিপ্টো?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমার ক্ষেত্রে টার্ম ইনস্যুরেন্স নেওয়া উচিত। তবে নেওয়ার আগে, যে কোম্পানি থেকে এই পলিসি নেওয়া হচ্ছে সে সম্পর্কে কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। যেমন তার আর্থিক অবস্থা কেমন, দাবি নিষ্পত্তির অনুপাত কত এবং সে কত প্রিমিয়াম চার্জ করবে। এই সমস্ত তথ্য নেওয়ার পরে, কোন কোম্পানি থেকে বিমা নেওয়া লাভজনক হবে তা বেছে নিতে হবে।
আর্থিক উপদেষ্টারা মনে করেন যে মেয়াদী বিমা ছাড়াও একজন ব্যক্তির পেনশনের জন্য তার অবসরকালীন পোর্টফোলিও তৈরি করা উচিত। এক্ষেত্রে ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড এবং জাতীয় পেনশন স্কিম অবশ্যই এই পোর্টফোলিওতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। স্ক্রিপবক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা প্রতীক মেহতার কথায়, ‘অবসর গ্রহণের আগে পোর্টফোলিও প্রস্তুত করার সময় অবশ্যই মিউচুয়াল ফান্ডে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের কথা ভাবতে হবে’। কারণ মিউচুয়াল ফান্ড থেকে টাকা তোলা সহজ এবং উচ্চ রিটার্নও পাওয়া যায়।
প্ল্যান রুপি ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেস-এর প্রতিষ্ঠাতা অমল জোশী বলছেন, একসঙ্গে বিমা এবং পেনশনের সুবিধা মেলে এমন প্ল্যানে করছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায় না। এটা বড় ক্ষতি। মিরান আগরওয়ালের মতে, জাতীয় পেনশন স্কিম হল পেনশনের জন্য সেরা বিকল্প। তাঁর কথায়, ‘এনপিএসে একটি অ্যাকাউন্ট খোলার খরচ খুব কম এবং এতে বেশি রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা বীমার চেয়ে বেশি। এতে করা বিনিয়োগের উপর কর ছাড়ও পাওয়া যায়’।