দেশীয় শীতের সবজি চাষের পদ্ধতিতেই বিদেশি এই শাক চাষ করা যায়। পাক চই মূলত চিনের সবজি। চিনের পালং শাক বলা যায় এই সবজিকে। দেখতে অনেকটা পালং শাকের মতো। এই সবজি খেতেও অনেকটা পালং শাকের মতো। স্থানীয় পালং শাকের সঙ্গে অনেকটাই মিল চিনের এই পাক চই শাকের। বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এখন এই সবজি চাষ হচ্ছে। ফলে অনেকেই এই সবজি খাচ্ছেন। মূলত রেস্টুরেন্ট গুলিতে এই সবজির ব্যাপক চাহিদা। কারণ বর্তমান রেস্টুরেন্ট গুলিতে দেশীয় খাবারের থেকে বিদেশি খাবারের চাহিদা ব্যাপক। পিজ্জা বার্গারের মত খাবারের ব্যবহার করা হয় পাক চই।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
বর্তমানে মালদহ শহরে ও একাধিক রেস্টুরেন্ট তৈরি হয়েছে। যেগুলিতে বিদেশি খাবারের চাহিদা সবথেকে বেশি। তাই বিদেশি এই সবজির চাহিদাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে মালদহে। এই বাজার ধরতেই পুরাতন মালদহের কৃষকেরা পাক চই চাষ শুরু করেছেন। কৃষক ভাস্কর রাজবংশী বলেন, “গত দুই বছর ধরে চাষ করছি চিনের এই সবজি। মানুষ এই সবজির সঙ্গে পরিচিত হলে আরও চাহিদা বাড়বে। এখন বাজারে ভাল বিক্রি হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: কলকাতা থেকে এক বাসেই পৌঁছে যান স্বর্গে! ঠিক যেন নিউজিল্যান্ড! সস্তায় থাকা-খাওয়া! জানুন বিস্তারিত
বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বহু সাধারণ মানুষ বাড়িতেও রান্না করে খাচ্ছেন এই শাক। অধিকাংশ মানুষ নতুন এই খাবার টেস্ট করার জন্য কিনে খাচ্ছেন। ধীরে ধীরে দেশীয় সবজির সঙ্গে বিদেশি এই সমস্ত সবজির চাহিদা বাড়ছে মালদহে। জেলার একাধিক কৃষক এই বাজার ধরতে বিদেশি বিভিন্ন সবজি চাষ শুরু করেছে ইতিমধ্যে।আগামীতে এই সবজির চাষ ব্যাপক হারে মালদহে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন কৃষকেরা। কারণ বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে চিনের এই শাকের।
হরষিত সিংহ