একটা সময় ছিল যখন নগদ এবং ট্রাভেলার চেক নিয়ে ঘুরতে বেরতেন পর্যটকরা। ইদানীং সে সব ব্যাকডেটেড। এখন ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের সঙ্গে ট্রাভেলার কার্ড সঙ্গে রাখাটাই দস্তুর। নীরজ ভগত অ্যান্ড কোং-এর এমডি এবং সিএ রুচিকা ভগত বলছেন, ‘নগদ টাকা নিয়ে ঘুরলে চুরি ডাকাতির ভয় থাকে। তাই আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড, ডিজিটাল ওয়ালেটম পাঞ্চ কার্ডের মতো কার্ড ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তা ছাড়া নগদ বৈদেশিক মুদ্রা নেওয়ার সীমা আছে। কিন্তু ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে যত খুশি টাকা খরচ করা যায়’।
advertisement
আরও পড়ুন-আয়কর আইন অনুযায়ী কত টাকা পর্যন্ত নগদ লেনদেন করা যায়? নিয়ম ভাঙলে জরিমানা কত?
অল্প খরচ: তবে কাছে অল্প পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা নগদে রাখতে হবে। কারণ সব জায়গায় কার্ড ব্যবহার করা যায় না। ক্যাব নিয়ে কোথাও ঘুরতে গেলে কিংবা কোলা ডিসপেন্সিং মেশিনে নগদেই মেটাতে হবে। এক্ষেত্রে এফসি নোট নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন আজুকে পার্সোনাল ফিনান্স অ্যাডভাইসারির প্রতিষ্ঠাতা চৈতালি দত্ত।
ট্রাভেল কার্ড: ট্রাভেল কার্ড ফোরেক্স কার্ড নামেও পরিচিত। পর্যটকদের কাছে এই কার্ড অত্যন্ত জনপ্রিয়। বৈদেশিক মুদ্রা রূপান্তর করতে সময় এবং চার্জ দুটোই লাগে। ট্রাভেল কার্ড থাকলে সেই ঝামেলা নেই। পর্যটক যে দেশে বেড়াতে যাচ্ছেন সেই দেশের মুদ্রা পেতে ট্রাভেল কার্ড সাহায্য করে। দু’ধরনের ট্রাভেল কার্ড হয়, সিঙ্গল কারেন্সি এবং মাল্টি কারেন্সি। প্রয়োজন অনুযায়ী প্রিলোড করে নিলেই হল। এই কার্ড কমপক্ষে পাঁচ বছর বৈধ থাকে।
ডেবিট কার্ড: ডেবিট কার্ডগুলি স্থানীয় মুদ্রায় ফোরেক্সের জন্য সুবিধাজনক৷ ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে এটিএম থেকে নগদ তোলা যাবে। তবে বিদেশ থাকাকালীন আন্তর্জাতিক ডেবিট কার্ড বেছে নিতে হবে। কারণ দেশি ডেবিট কার্ড হলে অত্যধিক চার্জ দিতে হবে। আর আন্তর্জাতিক ডেবিট কার্ড হলে অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থ স্থানীয় মুদ্রায় থাকবে। এছাড়া এতে ডিসকাউন্ট এবং অফার তো মেলেই সঙ্গে ট্রাভেল বিমাও পাওয়া যায়।
ক্রেডিট কার্ড: এটাই সবচেয়ে সুবিধাজনক। তবে এর নেতিবাচক দিকটা হল, বৈদেশিক মুদ্রার রূপান্তর হার। ভারতীয় ক্রেডিট কার্ড হলে কার্ডে যে ব্যালেন্স আছে তা ভারতীয় মুদ্রায় রয়েছে। সেই ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন করলে রূপান্তর ফি চার্জ করা হবে। ধরা যাক কেউ ভারতীয় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ইউরো খরচ করছেন। এক্ষেত্রে আইএনআর থেকে ইইউআর রূপান্তর করতে ফি প্রযোজ্য হবে। এই ফি লেনদেনের পরিমাণের ৩.৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। যাই হোক, কিছু কার্ড আছে যেগুলি বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে কম মার্কআপ ফি চার্জ করে এবং বিশেষ করে। এটা যাঁরা প্রায়ই বিদেশ ভ্রমণ করেন তাঁদের জন্য উপযোগী।