বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় চাষিদের লাভ হবে বলেই মনে করছেন কৃষিমহলের বিশেষজ্ঞরা। গত চার বছর ধরে পেঁয়াজের আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় অনেক কৃষকরাই গভীর ঋণে পর্যুদস্ত। ওই চাষি আরও জানান যে, সুদে টাকা নেওয়ার মতো পরিস্থিতিও তাঁদের নেই। কৃষকরা ৩৮০০ থেকে ৪৫০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল সাশ্রয়ী মূল্যে এবারে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। কৃষকেরা সরকারের কাছে পেঁয়াজের দাম আরও বেশি বাড়াতে চাইছেন।
advertisement
এই প্রসঙ্গে কৃষক শিবশঙ্কর রেড্ডি তার পেঁয়াজ চাষ সম্পর্কে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, তাঁরা কোনও জায়গা থেকেই পেঁয়াজের বীজ কেনেন না। পেঁয়াজের ফসল সংগ্রহ করে নিজের খামারে রোপণ করেন। এতে বীজ ক্রয়ের খরচ অনেকটাই কমে যায়। তিনি আরও বলেন যে, এখন চার মাস তাঁদের ফসল কাটার সময়। তবে এই পেঁয়াজের ফসল চলাকালীন বেশি বৃষ্টি হলে কীটপতঙ্গের উপদ্রব শুরু হতে পারে, তাই সামান্য বৃষ্টিই যথেষ্ট।
বর্তমানে রোদ বেশি থাকায় পেঁয়াজে কোনও পোকামাকড় নেই বলে জানা গিয়েছে। কৃষক শিবশঙ্কর জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই ফসল ভাল হবে। তবে তাঁর মতে মধ্যস্বত্বভোগীরা বেচাকেনা করলেও কৃষকরাই ফসলের দাম ওঠাপড়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন।
আরও পড়ুন, লাখ-লাখ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর জন্য বিরাট খবর, তৈরি হল গাইডলাইন! বদলে গেল নিয়ম
আরও পড়ুন, সিনিয়র-জুনিয়র নয়, দলীয় কর্মীদের জন্য অন্য ‘স্ট্র্যাটেজি’ অভিষেকের! বিজয়া সম্মিলনীতে বার্তা
তাঁর পেঁয়াজের চাষে প্রতি একরে ৭০,০০০ টাকা খরচ হয়েছে এবং যদি ফসল ভাল হয়, তবে বিনিয়োগ ছাড়াও প্রতি একর ৫০,০০০ টাকা উদ্বৃত্ত থাকবে। তাই তাঁরা ভুট্টা, বাজরা, সয়াবিন, ছোলা, রাগু জাতীয় ফসলের পাশাপাশি পেঁয়াজ চাষ করছেন।
তিনি বলেন, বাজারে এবারে পেঁয়াজের মূল্য এমন হবে যে, কোনও ফসলে কৃষকের এক বছর লোকসান হলেও বাকি বছরে কৃষকরা আয় করতে পারবেন। এই কারণে তাঁরা ব্যাপক এলাকা জুড়ে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।