তবে অমিতের মতে, পেঁয়াজ চাষের বড় সুবিধা হল—পেঁয়াজ ফুল, কুঁড়ি বিক্রি করেই খরচের অর্ধেক টাকা উঠে আসে তারা। চাষের শুরুতেই গাছের ফুল, কুঁড়ি বাজারে ভাল দামে বিক্রি হয়। অনেক কৃষক ফুলকুঁড়ি ফেলে দেন বা গুরুত্ব দেন না, কিন্তু অমিত শুরু থেকেই ফুলকুঁড়িকে আলাদা করে বাজারে নিয়ে যান। এবছরও সেই কারণে চাষের প্রথম দিকেই তিনি তাঁর প্রায় ১০ হাজার টাকার খরচ তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন। তাঁর বক্তব্য, “ফুলকুঁড়ির চাহিদা এবার খুবই ভাল। তাই পেঁয়াজ তোলার আগেই অর্ধেক খরচ উঠে যায়। এতে চাষের চাপ কমে এবং লাভের পরিমাণ বাড়ে।”
advertisement
বাগুই নদীর পাড়ে চাষ করার ফলে সেচের খরচও খুব বেশি হয় না, জমিতে জলের ঘাটতি থাকে না। তিনি বলেন, “নদীর পাড়ের জমিতে আর্দ্রতা থাকে বলে পেঁয়াজ গাছ দ্রুত বেড়ে ওঠে। সারও খুব বেশি লাগে না।” পেঁয়াজের পাশাপাশি ফুলকুঁড়িতে আয় হওয়ায় কৃষকদের মতে, এই চাষে আলাদা রকম নিশ্চয়তা থাকে। অমিতের পাশাপাশি অনেকেই বাগুই নদীর পাড়ে পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অমিতের হিসাবে, শুধুমাত্র এই এক বিঘা জমি থেকেই তিনি পেঁয়াজ বিক্রি করবেন প্রায় ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার। খরচ বাদ দিলেও ভালই লাভ পাওয়া যাবে। এর সঙ্গে ফুলকুঁড়ি বিক্রি করে যে অর্থ আসবে, তা খরচের অর্ধে উঠে আসবে। অমিত জানান, “এক বিঘা জমির চাষে মোট ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফুলকুঁড়ি বিক্রি করেই অর্ধেক ফিরে পাব। তারপর যখন পেঁয়াজ তোলা শুরু হবে, তখন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বিক্রি হবে।” তাঁর এই সফল চাষ পদ্ধতি এখন আশেপাশের কৃষকদের মধ্যেও উদ্দীপনা তৈরি করেছে। নদীর পাড়ের জমি সঠিকভাবে কাজে লাগালে যে কম খরচে বেশি লাভ করা যায়, অমিত প্রধান তার সফল উদাহরণ।





