ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের তুলনায় যা বেশ কিছুটা বেশি। যেমন এসবিআই-তে ৫ বছরের ফিক্সড ডিপোজিটে ৬.৫ শতাংশ এবং আইসিআইসিআই ৭ শতাংশ হারে সুদ দিচ্ছে।
এনএসসি: এনএসসি সরকার সমর্থিত বিনিয়োগ বিকল্প। ন্যূনতম ১০০০ টাকা এবং ১০০ টাকার গুণিতকে বিনিয়োগ করা যায়। বিনিয়োগের কোনও উর্ধ্বসীমা নেই। এনএসসি-র সুদ বছরে চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ে। মেয়াদপূর্তিতে একসঙ্গে দেওয়া হয়। ধারা ৮০সি-র অধীনে বিনিয়োগের উপর ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড় মেলে।
advertisement
আরও পড়ুন: একদিনে আয় ৪৭ লক্ষ টাকা! যাত্রীদের ভুলেই মালামাল রেল
এনএসসি কেনার সময় সুদের হার পুরো মেয়াদ জুড়ে অপরিবর্তিত থাকে। পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে স্কিম পুনর্নবীকরণ করা যায়। তবে সেই সময়ের প্রযোজ্য সুদের হার অনুযায়ী নতুন শংসাপত্র কিনতে হবে।
এফডি: ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে ফিক্সড ডিপোজিট করা যায়। মেয়াদ ৭ দিন থেকে ১০ বছর পর্যন্ত। তবে ধারা ৮০সি-র অধীনে করছাড় শুধুমাত্র ৫ বছরের লক-ইন-এই পাওয়া যায়। এফডি-র সুদের হার বিভিন্ন ব্যাঙ্কে বিভিন্ন রকম। মাথায় রাখতে হবে এফডিতে অর্জিত সুদ ট্যাক্স স্ল্যাব অনুযায়ী কর যোগ্য।
এনএসসি না কি এফডি, কোথায় বিনিয়োগ করা উচিত: এনএসসি-তে ম্যাচিউরিটির উপর ক্রমবর্ধমান সুদ পাওয়া যায়। তাই লক ইন পিরিয়ডে সুদ থেকে আয় পাওয়ার কোনও উপায় নেই। এফডি-তে মাসিক বা ত্রৈমাসিকে সুদ নেওয়া যায় বা মেয়াদপূর্তির সময়।
এনএসসি-তে সুদ বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ে। এফডি-তে ত্রৈমাসিক চক্রবৃদ্ধি হয়। অতএব যদি কেউ ফিক্সড ডিপোজিটে পুনঃবিনিয়োগের বিকল্প গ্রহণ করেন, তাহলে উচ্চতর চক্রবৃদ্ধি ফ্রিকোয়েন্সি সহ ফলন বেশি হবে।
ট্যাক্সেশন: দুটি বিনিয়োগ বিকল্পতেই ধারা ৮০সি-র আওতায় এক বছরে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত করছাড় পাওয়া যায়। এনএসসিতে টিডিএস কাটা হয় না। ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের পরিমাণ বার্ষিক ৪০ হাজার টাকার বেশি হলে ১০ শতাংশ টিডিএস প্রযোজ্য। প্রবীণ নাগরিকদের জন্যে এই সীমা ৫০ হাজার টাকা।
সর্বোচ্চ বিনিয়োগের সীমা: এনএসসিতে বিনিয়োগের কোনও সীমা নেই। সেখানে ট্যাক্স সেভার এফডি-র ক্ষেত্রে কিছু ব্যাঙ্কে ১.৫ লক্ষ টাকার উর্ধ্বসীমা রয়েছে।