আলাদা করে বলে দিতে হয় না, এই অনুষ্ঠানে আবেগে ভাসলেন সকলে! কারণ এখানে শুধুমাত্র রিফাইনারির কৃতিত্বকেই উদযাপন করা হয়নি, সেই সঙ্গে ধীরুভাই আম্বানির দেখা স্বপ্ন এবং মূল্যবোধকেও সম্মান জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখলেন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি। সেই সঙ্গে ধীরুভাই আম্বানির অদম্য দৃষ্টিভঙ্গি এবং লিডারশিপের প্রতি শ্রদ্ধাও জানালেন তিনি।
advertisement
নীতা আম্বানি বলেন, “আমরা আজ জামনগর রিফাইনারির অনবদ্য সফর উদযাপন করছি। কিন্তু এর পাশাপাশি ধীরুভাই আম্বানির দৃষ্টিভঙ্গি যে পুরো বিষয়টিকে সম্ভব করেছে, সেটাও মনে রাখার এবং সম্মান জানানোর মুহূর্ত এটি। ভারতের জন্য একটি এনার্জি পাওয়ার হাউজ গড়ে তোলা এবং গ্লোবাল এনার্জি মার্কেটে পরিষেবা দেওয়ার বিষয়ে তাঁর যে স্বপ্ন, সেটাই আমাদের প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা দিয়ে চলেছে।”
আম্বানি পরিবারের হৃদয়ে জামনগরের এক বিশেষ স্থান। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন নীতা। বলেন, “জামনগর শুধু একটা জায়গাই নয়, এটা আসলে রিলায়েন্সের আত্মা। আমাদের হৃদয়ে এই জায়গার স্থান খুবই ভালবাসার এবং গভীর। কোকিলা মায়ের জন্য এটা তাঁর জন্মভূমি, অর্থাৎ এখানেই জন্ম তাঁর। এটাই কোকিলা মায়ের মূল্যবোধের শিকড়। আজ তিনি এখানে উপস্থিত রয়েছেন। আর এই সমস্ত কিছু সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র তাঁর আশীর্বাদেই। তুমি যা যা আমাদের জন্য কর, সেই সব কিছুর জন্য ধন্যবাদ মা।”
একটু থেমে মুকেশ-পত্নী বলেন, “বাবা ধীরুভাই আম্বানির জন্য জামনগর ছিল তাঁর কর্মভূমি — তাঁর দূরদর্শিতা এবং স্বপ্নের স্থান। গতকাল ছিল বাবার ৯২-তম জন্মদিন। আমি নিশ্চিত যে, তিনি এখানে আমাদের সকলের উপর নিজের আশীর্বাদ বর্ষণ করছেন। আর মুকেশের জন্য এটা তাঁর শ্রদ্ধাভূমি — পূজা এবং শ্রদ্ধার জায়গা। এটাই সেই জায়গা, যেখানে বাবা বিশ্বের বৃহত্তম মূল স্তরের শোধনাগারের স্বপ্ন দেখেছিলেন। এখানেই নিজের বাবার স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করতে সাহায্য করেছেন মুকেশ। আবার আমাদের তিন সন্তান বিশেষ করে অনন্তের জন্য এটা সেবাভূমি — কাজ এবং সেবার জায়গা। আসলে এটা শুধু একটা জায়গাই নয়। এটা আমাদের পরিবারের আশা আর বিশ্বাসের একটা হৃদস্পন্দনও বটে!”
প্রসঙ্গত, প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল প্রক্রিয়াকরণ হয় জামনগর রিফাইনারিতে। যা ভারতের শক্তির চাহিদা মেটাতে এবং গ্লোবাল এনার্জি মার্কেটে অবদান রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর মুকেশ আম্বানির নেতৃত্বে কীভাবে জামনগর রিফাইনারি এগিয়ে চলেছে, সেটাও প্রতিফলিত হয়েছে এই অনুষ্ঠানে। এই রিফাইনারি যে প্রযুক্তিগত আবিষ্কার এবং অর্থনৈতিক রূপান্তরের একটা প্রতীক হয়ে উঠেছে, সেই বিষয়টাও তুলে ধরা হয়েছে।