১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে ক্যাপিটাল গেইন ছাড়া আয়ে কোনও কর দিতে হবে না৷ এর ফলে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত যাঁদের আয়ে, তাঁদের বছরে প্রায় ৮০ হাজার টাকা সাশ্রয় হবে৷ চাকুরিজীবীদের ক্ষেত্রে ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা আয় পর্যন্ত কোনও কর দিতে হবে না৷ কারণ ৭৫ হাজার টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হিসেবে ছাড় পাওয়া যাবে৷
advertisement
১২ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ে কর দিতে হবে ১৫ শতাংশ হারে৷ ১৬ থেকে ২০ লক্ষ টাকা আয়ে ২০ শতাংশ আয়ে কর দিতে হবে৷ ২০ থেকে ২৪ লক্ষ টাকা আয়ে কর দিতে হবে ২৫ শতাংশ হারে৷ ২৪ লক্ষ টাকার উপরে বার্ষিক আয়ে কর ধার্য হবে ৩০ শতাংশ হারে৷
অর্থমন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে দাবি করেছেন, কারও বার্ষিক আয় ১২ লক্ষ টাকা হলে তাঁর ৮০ হাজার টাকা সাশ্রয় হবে৷
১৮ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয় হলে নতুন কর কাঠামোয় সাশ্রয় হবে ৭০ হাজার টাকা৷
কারও আয় বার্ষক ২৫ লক্ষ হলে বার্ষিক ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা সাশ্রয় হবে৷
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কর কাঠামোর নতুন বিন্যাস-
বার্ষিক আয় | কর |
০-৪ লক্ষ | শূন্য |
৪-৮ লক্ষ | ৫ শতাংশ |
৮-১২ লক্ষ | ১০ শতাংশ |
১২-১৬ লক্ষ | ১৫ শতাংশ |
১৬-২০ লক্ষ | ২০ শতাংশ |
২০-২৪ লক্ষ | ২৫ শতাংশ |
বার্ষিক ২৪ লক্ষের উপরে আয় | ৩০ শতাংশ |
অর্থমন্ত্রী যে ঘোষণা করেছেন, তার গোটাটাই নতুন কর কাঠামোর ক্ষেত্রে কার্যকর হবে৷ অর্থনীতিবিদদের ব্যাখ্যা, বাজারে চাহিদা বাড়াতেই মানুষের হাতে টাকার জোগান বাড়ানোর চেষ্টা করল মোদি সরকার৷ সেই কারণেই মধ্যবিত্তদের বিপুল করছাড় দিয়ে টাকার জোগান বাড়ানো হল৷
গত বছরের বাজেটে কী ছিল করের হার?
বার্ষিক আয় | করের হার |
৩ লক্ষ | শূন্য |
৩-৭ লক্ষ | ৫ শতাংশ |
৭-১০ লক্ষ | ১০ শতাংশ |
১০-১২ লক্ষ | ১৫ শতাংশ |
১২-১৫ লক্ষ | ২০ শতাংশ |
১৫ লক্ষের উপরে | ৩০ শতাংশ |
অর্থমন্ত্রী অবশ্য স্বীকার করেছেন, এই কর ছাড়ের ফলে সরকারের আয় অনেকটাই কমবে৷ কিন্তু বাজারে চাহিদা বাড়লে ঘুরপথে জিএসটি থেকে আয়, সঞ্চয় বাড়লে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা৷