সিদল এখন তৈরি হচ্ছে জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের দাসপাড়া এলাকায়। এখন দাসপাড়া এলাকার বেশ কিছু পরিবারের অর্থ উপার্জনের মূল পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে সিদলের ব্যবসা। তারা সিদল তৈরি করে স্বনির্ভর হচ্ছেন। চাহিদাও রয়েছে প্রচুর।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যবাসীর জন্য দারুণ সুখবর, নেপালের পশুপতিনাথ দর্শন এবার শিলিগুড়িতেই, খুলল বিশাল মন্দির
কীভাবে তৈরি করা হয় উওরবঙ্গের জনপ্রিয় এই সিদল? জানা গিয়েছে, প্রথমে মাছগুলো ভালো করে ধুয়ে কড়া রোদে ৫-৬ দিন শুকিয়ে নিতে হয়। মচমচে হলে মাছের শুঁটকিগুলো উরুনগান বা শিল-পাটায় গুঁড়া করে এরপর সাদা মানকচু ও কালো কচুর শুধু ডাঁটা ধুয়ে নিয়ে কাঁচা অবস্থায়ই বাটতে হয়। কচুবাটার সঙ্গে মলা, ডারকা বা পুঁটি মাছের আধাভাঙা গুঁড়া, প্রয়োজনমতো শুকনো লঙ্কা, লবণ, রসুন, আদা বাটা সবকিছুর সঙ্গে মেশাতে হয়। সব মেশানো হয়ে গেলে একদিন পর মণ্ডগুলো হলুদ ও সর্ষের তেল দিয়ে মেখে হাত দিয়ে গোল বা চ্যাপটা করে ৫-৬ দিন রোদে শুকোতে হয়। ডালা বা কুলোয় ঢেকে (যাতে পাখি খেতে না পারে) শুকিয়ে একটু শক্ত হলেই তৈরি হয় সিদল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ রাতের অন্ধকারে গায়েব ছাগল, ঝোপের মধ্যে মরা-গরু, চা-বাগানে আতঙ্ক
সিদল ব্যবসায়ী রিনা দাস বলেন, বেশ চাহিদা রয়েছে শহরে। জলপাইগুড়ি জেলার বাইরে থেকেও লোক এসে নিয়ে যায় সিদল। চাহিদা এতোই যে আমি সেই অনুযায়ী বানিয়ে উঠতে পারি না। সিদল বানাতে খরচও কম, লাভ হয় অনেক।
সুরজিৎ দে