উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড়ে এই কেশরের চাষ বিশেষ উপযুক্ত হবে। বিশেষ করে কালিম্পংয়ে পরীক্ষালব্ধভাবে চাষের সাফল্য পেয়েছে। কাশ্মীর থেকে বীজ এনে এ বার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগে চাষ করা হচ্ছে। যদিও বাংলার জলবায়ু এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে কেশর চাষ করা খুব একটা উপযুক্ত নয়। কিন্তু এই অসাধ্য কাজকে সাধন করেছে কোফাম বিভাগ।
advertisement
আর পড়ুনঃ লালগোলা-শিয়ালদহ শাখায় একাধিক ট্রেন বাতিল, সূচি পরিবর্তন কিছু ট্রেনের, জানুন
খুব বেশি বড় জায়গা দরকার নেই । ১০০ বর্গফুটের একটি ঘর থাকলেই কেল্লাফতে। এই কেশর চাষ করে মাসে আয় করা যাবে লক্ষ লক্ষ টাকা। আগামীতে কেশর চাষের মধ্যে দিয়ে বেকার যুবক যুবতীদের আয়ের নতুন পথ দেখাতে চলেছে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গোটা দেশের মধ্যে এই প্রথম গবেষণাগারে কেশর চাষ শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম, মিলেছে সাফল্যও। কালিম্পংয়েও পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করে ১৫ দিনেই মিলেছে সফলতা।
কালিম্পংয়ের আপার ইচ্ছের দাঁড়াগাঁওয়ে আশিটি বীজ দিয়ে পরীক্ষামূলকভাব চাষ করা হয়। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম বিভাগের বায়ো টেকনিস্ট অমরেন্দ্র পাণ্ডে বলেছেন, “১০০ বর্গফুট জায়গায় ১০০০ গাছ লাগানো যাবে। বাজারে ১ কেজি কেশরের দাম ৩ লক্ষ টাকা। পাহাড়ে এই কেশরের চাষ ভাল হবে। পরীক্ষায় আরও সাফল্য এলে সমতলেও চাষের চেষ্টা করা হবে।”
এ প্রসঙ্গে কৃষক মহেন্দ্র ছেত্রী বলেন, “কেশর খুব লাভজনক ফলন। আগেও চাষের কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু বীজ পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয় বীজ দিয়েও আমাকে সাহায্য করেছে। চাষের সাফল্যে আমি আরও খুশি হব।” এই কেশর চাষ আগামীতে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে আশাবাদী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অনির্বাণ রায়