এ চাষে সবথেকে বেশি সফলতা লাভ করেছেন কৃষক জয়দেব পুরকাইত। তিনি ১০ কাটা জায়গায় ড্রাগন ফল চাষ করেছেন। সেজন্য চারাগুলিকে নির্দিষ্ট দূরত্বে বসিয়েছেন তিনি। মাঝে বসানো হয়েছে অন্যান্য সবজি। রয়েছে পটল, লঙ্কা, বিন, ওলকপি সহ অন্যান্য সবজি। ড্রাগন ফল চাষে ১ থেকে ১.৫ বছর সময় লাগে। এই সময়ের মধ্যে মরশুমি বিভিন্ন সবজি ও ফসল ফলানো হচ্ছে। ফলে লাভবান হচ্ছেন তিনি। এর ফলে বছরে ১ থেকে ১.৫ লাখ টাকা লাভ হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নামমাত্র টাকা ব্যয়ে চাষ, ঘরে আসছে হাজার হাজার টাকা! নয়া 'এই' চাষই পথ দেখাচ্ছে
তাঁর এই সাফল্যের পর অন্যান্য কৃষকরাও তার বাগান দেখতে আসছেন। সম্প্রতি কুলতলি ব্লকের উদ্যান পালন বিভাগের ক্ষেত্র উপদেষ্টা লক্ষণ চন্দ্র কয়াল জানিয়েছেন, ড্রাগন ফলের চাষ লাভজনক ব্যবসা। এই চাষ এখন আর এলাকায় নতুন নয়। এই চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জল পুকুর থেকেই দেওয়া যেতে পারে।
সরকারি ভাবে সেজন্য কৃষকদের সুপরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জয়দেব পুরকাইত সেই পরামর্শ অনুযায়ী চাষ করে তিনি বর্তমানে একজন সফল চাষি। এ নিয়ে জয়দেব পুরকাইত জানান, প্রথমে ড্রাগন ফলের চাষ করেছিলেন তিনি। সে ক্ষেত্রে সময় লাগছিল অনেকটাই। সেই জন্য মিশ্র চাষের পরিকল্পনা নেন। উদ্যান পালন বিভাগের সহযোগিতায় সেই কাজ আরও ত্বরান্বিত হয়েছে।
নবাব মল্লিক