তবে মেনে চলতে হবে এই চাষের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নিয়মাবলী তাহলেই আয় একেবারে সুনিশ্চিত। এই আপেল কুল চাষ করতে খুব একটা বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না। এ ছাড়া একবার গাছ লাগিয়ে দিলে সেই গাছ থেকে মোটামুটি ৬-৭ বছর ভাল পরিমাণে ফলন পাওয়া যায়। তাই যে কোন কৃষক স্বল্প ব্যয় করে দীর্ঘ সময় ধরে অনেকটাই আর্থিক মুনাফার মুখ দেখতে পারবেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শুরু করুন ফুলের ব্যবসা; কী লাগবে, কত উপার্জন হবে, জেনে নিন যাবতীয় খুঁটিনাটি
দেওচড়াই এলাকার আপেল কুল চাষি রাসবিহারী বিশ্বাস জানাচ্ছেন, 'আপেল কুল চাষাবাদের ক্ষেত্রে বিশেষ কোন সমস্যা দেখতে পাওয়া যায় না। তাই চাষাবাদের ক্ষেত্রে অনেকটাই আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব। তবে এই কুল গাছের একটি মাত্র রোগ দেখতে পাওয়া যায়। একটি রোগ পোকার আক্রমণের ফলে এই গাছের পাতা কালো হয়ে কুঁকড়ে যায়। ফলে গাছের অনেকটাই ক্ষতি হয়। এই রোগটিকে আপেল কুল গাছের ধ্বসা রোগ বলে চিহ্নিত করা হয়। সঠিক সময়ে সঠিক ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া খুব সহজেই সম্ভব। ৩-৪ দিনের মধ্যেই এই রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় হয়। তাই ওষুধ প্রয়োগ মাসে ২-৩ বার করা উচিত।'
আরও পড়ুনঃ প্রেমিকাকে দিন, উপার্জনও করুন, দেখে নিন গোলাপ চাষের সাতসতেরো!
তবে এই কুলের অন্যতম একটি বিশেষত্ব হল এই কুলটি কাঁচা অবস্থাতেও বেশ ভালই মিষ্টি। তার ফলে এই কুলটি খেতে অনেক মানুষ বেশি পছন্দ করে। তবে কোচবিহার জেলায় এখনো পর্যন্ত বিপুল পরিমাণে এর চাষাবাদ শুরু করা হয়নি। তাই এই চাষী অন্যান্য চাষীদের পরামর্শ দিচ্ছেন অন্যান্য চাষবাদের পাশাপাশি এই চাষ করে আর্থিক মুনাফার পরিমান বাড়িয়ে তোলার জন্য।
রাসবিহারী বিশ্বাস আরোও জানান, 'প্রথম অবস্থায় তিনি কোচবিহার কৃষি দফতরের সহায়তায় এই চাষাবাদ শুরু করেছিলেন। তাই যেকোন কৃষকের এই চাষাবাদ শুরু করার আগে কৃষি দফতরের পরামর্শ নেওয়া উচিত। না হলে পরবর্তীতে অসুবিধা সম্মুখীন হওয়ার সম্ভবনা থাকে।'
Sarthak Pandit