সাবান নিত্যপ্রয়োজনীয় উপাদান। প্রত্যেক বাড়িতে লাগে। জামাকাপড় কাচা থেকে বাসন মাজা, সাবানের ব্যবহার সর্বত্র। তাই চাহিদাও সবসময়ই তুঙ্গে থাকে। বাজারে সাবানের নামি-দামি ব্র্যান্ড রয়েছে। কিন্তু গুণমান ভাল হলে মানুষ যে লোকাল সাবানের দিকেও ঝুঁকতে পারে সে কথা চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়। সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হল, কম টাকা বিনিয়োগ করেও সাবান তৈরির কারখানা খোলা যায়। এই ব্যবসা করতে চাইলে মুদ্রা যোজনার অধীনে সরকারের থেকে ঋণও মিলবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সবজি চাষে ঘাটতি মেটাতে বিনামূল্যে বীজ বিতরণের উদ্যোগ উদ্যান পালন দফতরের
কত বিনিয়োগ করতে হবে: সাবান তৈরির কারখানা খুলতে হাজার বর্গমিটার জায়গার প্রয়োজন। কারণ অনেক রকমের মেশিন লাগবে। এক্সট্রুডার মেশিন, ডাই, মিক্সার মেশিন, কাটিং মেশিন এবং কাঁচামাল। এর পাশাপাশি কিছু কর্মীও নিয়োগ করতে হবে। মোটামুটি ৭ লাখ টাকা খরচ করে সাবান উৎপাদনের একটা ভাল ইউনিট স্থাপন করা যায়। এর পাশাপাশি সাবান কারখানা চালানোর জন্য লাইসেন্সও লাগবে।
কত উপার্জন হতে পারে: শুরুতে আয় কিছুটা কম হবে। কারণ বাজার ধরার জন্য পণ্যের মার্জিন কিছুটা কম রাখতে হবে। প্রথম দিকে সাধারণত একটা সাবানে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত মার্জিন পাওয়া যেতে পারে। যদি উৎপাদন এবং পণ্যের মান ভাল হয় তাহলে একটা কারখানা থেকে বছরে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা যেতে পারে।
এ ভাবে লাভ বাড়বে: এই ব্যবসায় সফল হতে চাইলে পণ্যের গুণমান ভাল হওয়া আবশ্যক। ব্যবসা বাড়ানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। পণ্য সঠিকভাবে বাজারজাত করতে পারলে লাভ বাড়বে। এ ছাড়া সাবানের হোম ডেলিভারিও চালু করা যায়। বাজারে স্টল বসিয়ে বিক্রি করলে মার্জিন ভাল থাকবে।