গোপীবল্লভপুর ১ সহ কৃষি অধিকর্তা অভিজ্ঞান দাস বলেন, ‘ডাইভারসিফায়েড ক্রপিং প্রোগ্রাম ও সিট প্রোগ্রাম ন্যাশনাল মিশন ফর অ্যাডিবল অয়েল স্কিমের মধ্যে এখানকার কৃষকদের উন্নত মানের বাদামের বীজ দেওয়া হয়। সেই সমস্ত কাজ করে চাষিরা ভালো লাভ পেয়েছেন।’
আরও পড়ুন: হাতের কাছেই লুকোচুরি খেল ছিল ৫০ হাজার টাকা! জানতেনই না অসহায় যুবক, পাইয়ে দিলেন এই সৎ মহিলা
advertisement
কখনও বৃষ্টি, আবার কখনও প্রচণ্ড রোদ। এই আবহাওয়ায় গোপীবল্লভপুরের বাদাম চাষিদের মুখে হাসি ফুটল। ব্লকের নদী তীরবর্তী এলাকার একাধিক গ্রামে বাদাম চাষ বেড়েছে। চাষিরা তাদের উৎপাদিত বাদাম ভিনরাজ্যে পাঠাচ্ছেন। ভালো দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা। তবে শুধু গোপীবল্লভপুর ব্লক নয়, জেলা জুড়েই বাদাম চাষ নতুন দিশা দেখাচ্ছে। স্থানীয় কৃষক সত্যব্রত গিরি জানান, অন্যান্য বীজের তুলনায় কাদরী লেপাক্সি বাদামের বীজে ফলন বেশি। এটি চাষ করে আমরা লাভবান হচ্ছি।
কৃষি দফতর থেকে বীজটি একটু আগে দিলে ভাল হয়।
গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দেবাশীষ গিরি বলেন, প্রতি বিঘা জমি থেকে গড়ে ফলন বৃদ্ধি বেড়েছে। আগে ৫-৬ কুইন্টাল বাদাম উৎপাদন হত। এই বীজ চাষ করার ফলে ফলন গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭-৮ কুইন্টাল। যা যথেষ্ট সন্তোষজনক। বর্তমানে এক কুইন্টাল বাদামের দাম মিলছে ৪৪০০ টাকা। ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় রাজ্যে বাদামের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ঝাড়গ্রামের উৎপাদিত বাদামও সেই সমস্ত রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। এ বছরও সুবর্ণরেখার তীরবর্তী বালি মাটিতে বাদাম চাষ করেছেন কৃষকরা। ফলন হয়েছে সন্তোষজনক। চরের জেগে ওঠা বালি মাটি বাদাম চাষে উপযোগী হওয়ায় বাদাম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: কৃষিকাজ না হলেও চাপ নেই! প্রাকৃতিক সম্পদকে হাতিয়ার করেই নতুন আয়ের খোঁজ ঝাড়গ্রামে
বালি মাটিতে অন্য কোনও ফসল হয় না। তবে অন্য ফসল না হলেও বালি মাটিতে বাদাম চাষ ভালো হয়। আগের চেয়ে বর্তমানে বাজারে বাদামের চাহিদা বেশি হওয়ায় এটি চাষে ঝুঁকছে গোপীর কৃষকরা।
ধান চাষের পাশাপাশি বাদাম, তিল, বিভিন্ন ফলের চাষ করা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যেই জেলায় চিনা বাদামের চাষ বেড়েছে। নতুন ধরনের চাষের মাধ্যমে আয় বাড়ছে চাষিদের। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য চাষের তুলনায় বাদাম চাষ বেশ লাভজনক। এক হেক্টর জমিতে ২২ কুইন্টাল পর্যন্ত বাদাম পাওয়া যায়। রাজ্যে প্রায় এক লক্ষ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়। এই ধরনের উন্নত প্রজাতির বাদাম বীজ কৃষকদের হাতে এলে আয় আরও বাড়বে।
তন্ময় নন্দী