রাজ্যে প্রথম গঠিত হল বিশেষ প্রযুক্তির কাঁকড়া চাষিদের নিয়ে প্রোডাকসান গ্রুপ। নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্য বিভাগের তৎপরতায় নন্দীগ্রাম এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাঁকড়া চাষিদের নিয়ে গঠিত হল 'বক্স-ক্র্যাব ফিশ প্রোডাক্সান গ্রুপ'। শুধু দল গঠনই নয়, দলের মৎস্যচাষিদের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে মৎস্যচাষ নিবন্ধন প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হল। এই বক্স-ক্র্যাব টেকনোলোজিতে মাছের পাশাপাশি পুকুরে কাঁকড়ার অভিনব চাষ পদ্ধতি নন্দীগ্রামে বেশ প্রসার ঘটছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দোকানের সামনে লম্বা লাইন, লকডাউনে তৈরি লকডাউন স্টোরই টানছে ছাত্র-যুবদের
কাঁকড়া চাষিদের সাথে ব্লক মৎস্য দফতরের এই নিবিড় যোগাযোগ মাছ চাষিদের খুব উদ্বুদ্ধ করছে। দাউদখালি গ্রামের কাঁকড়া চাষি অমিত বেরা বলেন, ব্লক মৎস্য আধিকারিক সুমন বাবুর সহায়তায় আমরা একটি দল গঠন করেছি, আমাদের পরিচয় পত্র-সহ বীমা প্রকল্পের আওতায় এনেছেন। সাউদখালির কাঁকড়া চাষি বুদ্ধদেব জানা, সোনাচূড়ার আশিস পাত্র, কেন্দেমারী গ্রামের শম্ভু মাইতি প্রমুখ চাষি খুব খুশি।
কী এই অভিনব বক্স ক্র্যাব টেকনোলোজি?
এ বিষয়ে ব্লক মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, 'কাঁকড়া চাষের আধুনিক লাভজনক পদ্ধতির নাম ‘বক্স ক্র্যাব টেকনোলজি’ বা ‘বাক্স-পদ্ধতি’। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ঈষৎ নোনা জলের পুকুরেই মাছ চাষের সঙ্গে বাক্স করে কাঁকড়া চাষ করা যায়। এই পদ্ধতিতে ১০-১২ দিনের পুরুষ কাঁকড়া এবং ২৫-৩০ দিনের মধ্যে স্ত্রী কাকঁড়া চাষ করা যায়। অত্যন্ত লাভজনক এই পদ্ধতি অবলম্বন করেই বর্তমানে এলাকায় কাঁকড়া চাষের প্রসার বাড়ছে। কাঁকড়া শুধু দেশের বাজার নয় বিদেশের বাজারেও সমান জনপ্রিয়। ফলে কাঁকড়া বিদেশে রপ্তানি করে চাষিরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও সক্ষম হচ্ছে।'
Saikat Shee