একেবারেই তাই, তবে তা পরোক্ষ! স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং পর্যটন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এর প্রধান কারণ হল পার্কিং এবং টোল ফি বৃদ্ধি, নৈনিতালে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এবং ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি। সব মিলিয়ে, দিল্লি-এনসিআর, পঞ্জাব, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্র থেকে আগত পর্যটকরাও অন্যান্য শৈলশহরের দিকে ঝুঁকছেন।
advertisement
নৈনিতাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দিগ্বিজয় সিং বিস্ত বলেন, গত বছরের মে মাসে হোটেল বুকিংয়ের হার ছিল ৯০%, এবার এই হার কোনও মতে মাত্র ১০-১৫%-এ পৌঁছেছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে ট্যাক্সি ড্রাইভার, নৌকাওয়ালা, রাস্তার বিক্রেতা এবং দোকানদারদের আয়ের উপরে। হোটেল অ্যাসোসিয়েশন নৈনিতালের সচিব বেদ সাহ জানিয়েছেন যে নিরাপত্তা নিয়ে ভয় এবং অনিশ্চয়তার কারণে ৯০%-এরও বেশি হোটেল বুকিং বাতিল করা হয়েছে। নৈনিতালের হোটেল, রেস্তোরাঁ, ট্যাক্সি ড্রাইভার, দোকানদার এবং নৌকাওয়ালাদের মতো লোকেরা তীব্র আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী কমল পাণ্ডে বলেন, সাধারণত এই সময়ে ৮০% ব্যবসা হত, কিন্তু এবার তা কমে মাত্র ২০%-এ নেমে এসেছে। এদিকে, নৌকাচালক খড়ক সিং বলেন, এই মরশুমে নৈনি হ্রদের নৌকাগুলো সাধারণত পর্যটকে পরিপূর্ণ থাকত, কিন্তু এখন বেশিরভাগ নৌকাই খালি। মল্লিতাল এবং টালিতালের হোটেল মালিকরাও চিন্তিত। মে-জুন মাসে যে সব ঘর বুক করা কঠিন ছিল, সেগুলো এখন খালি পড়ে আছে। কর্মীদের বেতন দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
তবে এর মধ্যেও কিছু ব্যবসায়ী আশাবাদী যে পরিস্থিতির শীঘ্রই উন্নতি হবে। ধীরে ধীরে পর্যটকরা আবার ফিরছেন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পর্যটকদের ভিড় জমে যেতে পারে। যদিও বর্তমানে নৈনিতালের পর্যটন শিল্প গভীর সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে এবং এটিকে উদ্ধার করার জন্য সরকারের ত্রাণ প্যাকেজ এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান জরুরি হয়ে পড়েছে।