২০১৩ সাল থেকে মাশরুম চাষ করে আসছেন পুরাতন মালদহের সাহাপুর পাবনাপাড়ার বাসিন্দা সোনাই হালদার। এখন তিনি মালদহ জেলার সফল মাশরুম চাষীদের মধ্যে একজন। এই চাষ তিনি অবসর সময়ে করছেন। মাসে অতিরিক্ত ছয় থেকে সাত হাজার টাকা রোজগার হচ্ছে। শিলিগুড়ি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে বাড়িতে চাষ শুরু করেন। এখন তিনি জেলার আগ্রহীদের মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণও দেন। জেলা উদ্যান পালন দফতরের পক্ষ থেকেও তাঁকে প্রশিক্ষণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
advertisement
মাশরুম চাষি সোনাই হালদার বলেন, ইচ্ছে ছিল এমন কিছু করব যেটা কেউ করছে না। সেখান থেকেই মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে চাষ করছি, ভাল সাফল্য পেয়েছি। এখন আমি অনেককেই মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণও দিচ্ছি।
আরও পড়ুন – ধেয়ে আসছে বিপুল বৃষ্টি! হাওয়ার গতি হবে তীব্র, তোলপাড়ের আশঙ্কা বিভিন্ন রাজ্যে
মাশরুম চাষে খরচ খুব কম। শুধুমাত্র মাশরুমের বীজ কিনতে যেটুকু খরচ। গমের ভুসি ও খড় সাদা ক্যারিব্যাগে ভর্তি করা হয়। তার মধ্যে দেওয়া হয় মাশরুমের বীজ। নিয়মিত জল দেওয়ার পর মাশরুম ফলতে শুরু করে। দুই দিন. তিন দিন পর পর মাশরুম তোলা শুরু হয়। সোনাই হালদার বলেন, চাষের পদ্ধতি জানতে পারলে সহজে চাষ করা সম্ভব। বিশেষ পদ্ধতিতে গমের ভুসি খড়ের মধ্যে মাশরুমের বীজ দেওয়া হয়। তারপর নিয়মিত জল দিতে হবে। প্রায় কুড়ি দিনের মধ্যেই মাশরুম বলবে।
এক সময় মালদহে তেমন বিক্রি ছিল না। তবে এখন মালদহের বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে পুষ্টিগুণে ভরপুর এই মাশরুম। এখন আর বাজারে গিয়ে বিক্রির প্রয়োজন হয় না। বাড়ি থেকেই বিক্রেতারা কিনে নিয়ে যায়। বাজারে চাহিদা বাড়ায় অনেকেই এখন মাশরুম চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। খুব সহজেই চাষ সম্ভব, লোকসানের সম্ভবনা প্রায় নেই মাশরুম চাষ করে।
হরষিত সিংহ