টমেটো চাষি জগবন্ধু বর্মন জানান, \”দীর্ঘ সময় ধরে তিনি টমেটো চাষ করে থাকেন। তবে অন্যান্য বছর টমেটো চাষে অসুবিধায় পড়তে হয় অনেকটাই। গাছের বিভিন্ন রোগ দেখা দিত বেশি। এছাড়া বেশি স্যার প্রয়োগ এবং বেশি কীটনাশক প্রয়োগ করতে হত। তবে এবার তিনি ইন্টারনেট থেকে মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করেছেন। তাই সমস্যা হচ্ছে না কোনোও ধরনের। এই পদ্ধতিতে চাষ করতে তাঁর শুরুতে সামান্য খরচ হয়েছে। তবে এখন আর খরচ হচ্ছে না। বর্তমানে তাঁর টমেটো গাছ অন্য কৃষকদের চাষ করা গাছের চাইতে অনেকটাই ভাল রয়েছে।\”
advertisement
চাষি জগবন্ধু বর্মন আরোও জানান, \”এই পদ্ধতিতে চাষ করলে লাভ দ্বিগুনের বেশি করা সম্ভব খুব সহজেই। তাই কৃষকদের উচিত এই মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করেই টমেটো চাষ করা। তবে একবারেই যা খরচ হবে, বারবার খরচ করার প্রয়োজন পড়বে না।\” এলাকার আরেক টমেটো চাষি নৃপেণ বর্মন জানান, \”তিনি এই মালচিং পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক জানেন না। তাই তিনি এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন না। তবে এই পদ্ধতি ব্যবহার না করার ফলে চাষে অনেকটাই ক্ষতি হচ্ছে তাঁর। তিনি দেখছেন যাঁরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন তাঁদের চাষ করা গাছ অনেকটাই ভাল অবস্থায় রয়েছে।\”
বর্তমান সময়ে আধুনিক কৃষি পদ্ধতিতে চাষ করলে কৃষকদের মুনাফা অনেকটাই বেশি হবে। তাই কৃষকদের উচিত জেলা কৃষি দফতরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা। এবং উন্নত কৃষি পদ্ধতি সম্পর্কে নিজেদের অবগত রাখা। মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করে চাষের সমস্যা কমিয়ে তোলা।সম্ভব অনেকটাই। এবং কৃষকদের লাভের মাত্রাও বাড়বে এই বিশেষ চাষের পদ্ধতি প্রয়োগে।
Sarthak Pandit