স্বামী-স্ত্রী জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিটি সিদ্ধান্ত সাধারণত একসঙ্গে নেন। কিন্তু যখন একসঙ্গে অর্থ সঞ্চয়ের কথা আসে, তখন আমরা অনেকেই প্রায়শই পিছিয়ে থাকি। তাহলে সঠিক উপায়টা কী?
যে সকল দম্পতিরা ব্যাঙ্ক, ক্রেডিট-কার্ড এবং একত্রে বিনিয়োগ করে অ্যাকাউন্ট খোলেন তাঁরা পরবর্তী জীবনে সুখী হন বলেই দেখা যাচ্ছে। একত্রে বিনিয়োগের কারণে পরবর্তীতে কোনও সম্পত্তি বা অন্য কোনও বড় খরচের ক্ষেত্রেও জীবনের প্রতিটি প্রধান লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হন তাঁরা। এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, সাধারণত অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিত দম্পতিদের চার গুণ বেশি সম্পত্তি থাকে।
advertisement
একসঙ্গে ব্যয় এবং সঞ্চয় করার সুবিধা
CreditCards.com দ্বারা ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এক সমীক্ষা অনুসারে, ৪৩ শতাংশ দম্পতিরা বলেছেন যে, তাঁদের কেবলমাত্র জয়েন্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই রয়েছে। অন্য দিকে, ৩৪ শতাংশ দম্পতিদের জয়েন্ট এবং সিঙ্গল দুই ধরনের অ্যাকাউন্টই রয়েছে এবং ২৩ শতাংশের ক্ষেত্রে দম্পতিরা তাঁদের আর্থিক বিষয়গুলি সম্পূর্ণ আলাদা রাখেন।
একটি গবেষণায় জয়েন্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রাখার বেশ কিছু সুবিধা দেখা গিয়েছে। এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, দম্পতিরা যাঁরা আর্থিক বিষয়গুলি ভাগাভাগি করে নেন, তাঁরা তাঁদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশি সন্তুষ্ট থাকেন। এর মাধ্যমে উভয়ই আর্থিক বিষয়ে তাঁদের দায়িত্ব পালন করেন এবং একই সঙ্গে দম্পতিরা একে অপরের ব্যয় এবং সঞ্চয়ের বিষয়গুলিও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
আরও পড়ুন- Optical Illusion: গাধার পালে লুকিয়ে প্রদীপের দৈত্য! ১১ সেকেন্ডে খুঁজে বের করাই চ্যালেঞ্জ
কীভাবে একত্রে সঞ্চয় করা যাবে?
জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট- বিবাহিত জীবনে একে অপরের খরচ নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যবেক্ষণের জন্য একটি জয়েন্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা খুবই দরকার। বেতনের একটি অংশ সংসারের খরচের জন্য এই অ্যাকাউন্টে রাখা উচিত। এগুলি ছাড়াও, উভয়ই তাঁদের নিজস্ব ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টেও টাকা রাখতে পারেন, যাতে তাঁরা তাঁদের ইচ্ছে অনুযায়ী তা ব্যয় করতে পারেন।
একসঙ্গে আর্থিক বাজেট তৈরি করা- অযথা ব্যয় এড়াতে একসঙ্গে বাজেট তৈরি করা একটি ভাল অভ্যাস। এটি আমাদের সংসারে আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়তা করে। এর জন্য উভয়কেই একসঙ্গে বসে পরিকল্পনা করতে হবে।
নগদে কেনাকাটা- সঞ্চয়ের অন্যতম পদ্ধতি হল নগদ অর্থ দিয়ে কেনাকাটা করা। ক্রেডিট কার্ডের পরিবর্তে নগদ অর্থ দিয়ে কেনাকাটা করলে তা আমাদের আর্থিক ভাবে অনেকটাই সাহায্য করে। যদি খরচ নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে একে অপরকে ক্রেডিট কার্ড সমর্পণ করা যেতে পারে। এ ছাড়া অনলাইন শপিং কমানোর চেষ্টা করা উচিত, এতে চাক্ষুষ ভাবে টাকা দিতে হয় না বলে আমরা অনেক সময়ই অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে ফেলি যা একেবারেই করা উচিত নয়।