এই সমস্ত মহিলারা স্কুলের পোশাক তৈরি করছে। এছাড়াও একাধিক পোশাক তৈরির কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। যার ফলে প্রত্যন্ত এলাকার মহিলারাও প্রতিমাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা রোজগার করে সংসার চালানোর পাশাপাশি নিজেদের হাতখরচের টাকাও পাচ্ছেন।
advertisement
এ নিয়ে অনুরাধা সামন্ত নামের এক কারিগর জানিয়েছেন, “পড়াশোনা করার পাশাপাশি এই কাজ করছেন তিনি। ফলে হাতে টাকা থাকছে। পরিবারেও টাকা দিতে পারছেন ফলে খুব উপকার হচ্ছে।” সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মহিলাদের এই সেলাই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সপ্তাহের প্রতি শনিবার ও রবিবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ছয় মাস ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর এখান থেকেই কাজ দেওয়া হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দক্ষিণ ২৪ পরগনার এলাকার পিছিয়ে পড়া মহিলাদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যে কেউ এখানে এসে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। এ নিয়ে প্রভাবতী প্রধান নামের এক মহিলা জানিয়েছেন, এখানে তার মত অনেক মেয়ে আছে। ফলে সময় কেটে যাচ্ছে। অসুবিধা হচ্ছে না। ফলে খুবই ভাল লাগছে। পাথরপ্রতিমার মত সাগরেও এরকম একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানেও মহিলারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
এই বিষয়ে সমবায় সমিতির ম্যানেজার যুধিষ্ঠির মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, এই টেইলারিং সেন্টারটি উদ্বোধন হওয়ায় অনেক মহিলা আসছে। কাজ শিখছে, তারপর নিজেরাই কাজ করছেন। ফলে সমবায় সমিতির যেমন লাভ হচ্ছে, তেমন তাঁরাও স্বনির্ভর হচ্ছেন। ফলে উপকৃত হচ্ছেন সকলেই।
নবাব মল্লিক