পূর্বস্থলী এক ব্লকের কুটিরপাড়া এলাকায় চলছে এই শিবির। মূলত বাতিল নানা সামগ্রীকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি শেখাচ্ছেন প্রশিক্ষকেরা। নান্দনিক কৌশল ও শিল্পীর ছোঁয়ায় লোহার ছোটো অংশ, গাড়ি, সাইলেকের ইত্যাদির যন্ত্রাংশ পরিণত হচ্ছে মেয়েদের গয়না, শো পিস, কিমবা ফটোফ্রেম ইত্যাদির মতো সামগ্রীতে। এই শিবিরে প্রশিক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন মোট তিনজন প্রশিক্ষক। তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজু বাগ নামের এক শিল্পী, যিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা। তার কথায়,”এটার উদ্দেশ্য একটাই, এখান থেকে যে প্রোডাক্টগুলো তৈরি হবে সেইগুলো বাজারজাত করে একটা স্বনির্ভর হওয়ার প্রচেষ্টা। বোটানিক্যাল গার্ডেন সার্ভে অফ ইন্ডিয়া থেকে যে আধিকারিক এসেছেন তাঁরা এতটুকু আশ্বাস দিয়েছেন যারা ভাল করতে পারবে তাদের নিয়ে একটা বৃহত্তর স্কেলে একটা ক্লাসটার বানিয়ে কাজ করার চেষ্টা করা হবে। দিল্লি, মুম্বই ,কলকাতা ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় তাদের প্রোডাক্টগুলো যেতে পারে, তার ব্যবস্থাও তাঁরা করবেন।”
advertisement
আরও পড়ুন: উপার্জনের নয়া দিশা, চোরাচালানকারীদের যম, দুই-ই হয়ে উঠবে মৌমাছি! নদিয়ায় বিশেষ প্রশিক্ষণ নিচ্ছে BSF
রাজু বাগ ছাড়াও এই শিবিরে রয়েছেন অপর দু’জন প্রশিক্ষক সৌরভ সিংহ ও তরুণ চৌধুরী। জানা গিয়েছে, ২৯ অক্টোবর শুরু হয়েছে এই প্রশিক্ষণ শিবিরটি। ১৩ দিন ব্যাপী চলা এই শিবিরটি শেষ হচ্ছে আগামী ১০ নভেম্বর। উদ্যোক্তা ও প্রশিক্ষকদের কথায়, বিভিন্ন বাতিল সামগ্রী ব্যবহার করে স্থানীয় যুবক, মহিলা ও তথাকথিত পিছিয়ে পড়া মানুষদের স্বনির্ভর করে তোলাই এই শিবিরের একমাত্র উদ্দেশ্য। যাতে আগামী দিনে তারা এই কৌশলকে কাজে লাগিয়ে দৈনন্দিন জীবনে স্বাবলম্বী হতে পারে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত এই শিবিরে স্থানীয় ২০ জন অংশ নিয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়ারাও। তেমনই এক পড়ুয়া রুপসা দাস জানান, “এখানে রিফিউস মেটিরিয়াল দিয়ে মেয়েদের জুয়েলারি-সহ আরও অন্যান্য জিনিস বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পড়াশোনার পাশাপাশি এটা শেখার উদ্দেশ্য যাতে ভবিষ্যতে আমি এটা নিয়ে কিছু করতে পারি। কোনও কাজে আমার লাগে, সাহায্য হয় সেই জন্যই শিখছি।”
প্রসঙ্গত, এই শিবিরে যারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাদের তৈরি ভাল জিনিসগুলি বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বাজারজাত করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে, এমনটাই জানান প্রশিক্ষক রাজু বাগ। উদ্যোক্তা থেকে প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষণরত পড়ুয়া সকলেই আশাবাদী এই শিবির থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা তাদের আগামী দিনে স্বনির্ভর হতে বিশেষভাবে সহায়তা করবে। সেই সঙ্গে পরিবেশে বর্জ্য পদার্থের পরিমাণও কমানোর সম্ভব হবে।





