পাথরপ্রতিমার প্রত্যন্ত এই এলাকার মানুষজনের বাঘ, কুমিরের সঙ্গে লড়াই করেই বেঁচে থাকতে হয়। পরিবারের বড়রা মাছ ধরা, মধু সংগ্রহের কাজ করে। তাদের সঙ্গে যায় পরিবারের ছোটরাও। সেই কাজে ঝুঁকি অনেকটাই বেশি থাকে। বর্তমানে এই মুখোশ তৈরির কাজ শিখে তারা অনেকটাই স্বনির্ভর। এই কথা জানিয়েছেন এই মুখোশ তৈরির প্রশিক্ষক মধুমিতা দাস। প্রায় ৩৫০ জন যুবক-যুবতী ও কিশোররা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আট জন প্রশিক্ষক তাঁদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তাদের তৈরি মুখোশের প্রাথমিক ছাঁচ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে পাইকারি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
advertisement
এরপর সেগুলি দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে চলে যাচ্ছে পুরুলিয়াতে, সেখানে সেই মুখোশের উপর কারুকার্য করে ছৌ নাচের মুখোশ তৈরি করা হচ্ছে। এ নিয়ে রামকৃষ্ণ মণ্ডল নামের অপর এক প্রশিক্ষক জানিয়েছেন, ছৌ নাচ, পালাগান, যাত্রাশিল্প ও ব্রতচারীর সময় মুখোশের প্রয়োজন হয়। এছাড়া আগমনী উৎসবের সময়েও বিভিন্ন রকমের মুখোশ লাগে। মূলত সেই মুখোশগুলিই এই ছাত্রছাত্রীরা তৈরি করে থাকেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মুখোশ তৈরি করার পর এই মুখোশগুলি পুরুলিয়ার পটুয়াপাড়ায় সরবরাহ করা হয়। সেখানেই সেগুলি বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়ে থাকে। এই মুখোশ তৈরি করে রোজগার হওয়ায় অনেকেই আকৃষ্ট হচ্ছেন এই পেশার দিকে। মুখোশ তৈরি করার প্রশিক্ষণ নিতে প্রায় তিন মাস সময় লাগছে। প্রথমে কাগজকে জলে ফেলে পচানো হয়। এরপর আঠা দিয়ে মাখিয়ে মাটির মতো ডেলা পাকানো হয়। তারপরই মুখোশ তৈরি করা হয়। ছাত্রছাত্রীরা প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর নিজেরাই এগুলি তৈরি করছে। ফলে আর জল জঙ্গলে যেতে হচ্ছে না তাদের।