সময় মতো সেচ, সার-সহ গাছের পরিচর্যাও শিখে গেছেন ইউটিউব দেখে। বাড়ির ছাদে এক চিলতে জায়গায় ড্রাগন চাষ করে ওই পদ্ধতি অবলম্বন করেই আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। নিজের জমি না থাকায় লিজে নিয়েই বিঘা আটেক জমিতে লাগিয়ে ফেলেন ড্রাগনের চারা। বছর দু’য়েকের ব্যবধানেই এখন লাখপতি সে। এখন তিনি তার চাষে ছয় থেকে সাত রকমের ড্রাগন চাষ করেন। আর ওই চাষ দেখেই উদ্বুদ্ধ হয়ে ডোমকল সহ-কৃষি অধিকর্তা শুভম প্রামানিকের তত্বাবধানে তার জমিতেই হয় চাষিদের কর্মশালা। কীভাবে ড্রাগন চাষ করলে লাভবান হওয়া যায় তার পরামর্শ দেন চাষিদের।
advertisement
মুর্শিদাবাদের ডোমকলে বসবাস আনোয়ার হোসেনের। যদিও তার গ্রামের বাড়ি জলঙ্গীতে। কিন্তু কর্মসূত্রে ডোমকলে থেকে ইউটিউবের সহায়তা নিয়ে তার বাড়ির ছাদে ড্রাগন চাষ করেন। ওই চাষে সফল ও লাভের আশা দেখে গ্রামীণ এলাকা ডোমকলের গোবিন্দপুর এলাকার একটি মাঠে বিঘা চারেক জমি লিজ নেন। লাগিয়ে ফেলেন ড্রাগনের চারা। বছর দুয়েকের ব্যবধানেই ফুলে ভরে উঠে মাঠ। বর্তমানে তিন বছরের মাথায় এখন সে লাখপতি। এখন আরও পাশের জমি নিয়ে ইতিমধ্যেই আরও ড্রাগনের চারা রোপন করেছেন। শুধু তাইই নয় বিদেশী পেয়ারার চারাও লাগিয়েছেন তিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আনোয়ার হোসেনের কথায়, জমিতেই করা হয়েছে ঘর। ওয়াচ টাওয়ারের মতো কাজ করায় দোতলা ঘরও হয়েছে মাঠে। ডোমকল সহ-কৃষি অধিকর্তার সহায়তায় আত্মা প্রকল্প ও BKSY প্রকল্পের মধ্য দিয়ে সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন আট বিঘা জমিতে বিঘা প্রতি তিন টন করে ফল পাচ্ছেন। বাজার দর ১০০ করে ধরলেও বিঘা প্রতি তিন লক্ষ টাকা। ওয়ান টাইম ইনভেস্টমেন্টে রোজগার করার এক সহজ পথ চাষিদের বোঝাচ্ছেন ড্রাগন চাষি আনোয়ার হোসেন।
ডোমকল ব্লক সহ-কৃষি আধিকারিক সোহম প্রামাণিক জানিয়েছেন, সঠিক পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষ করতে আপনারাও যোগাযোগ করতে পারেন নিকটস্থ সহ-কৃষি অধিকর্তা কিংবা জেলা কৃষি দফতরে। এমনকি ড্রাগন চাষে সহায়তা নিতে আনোয়ারের কাছেও পরামর্শ নিতে পারেন। মনে রাখবেন খুবই উর্বর জমির প্রয়োজন নেই এতে। ভাল আর্থিক লাভ হতে পারে ড্রাগন চাষ করলে।





