TRENDING:

Money making tips: বড়লোক হতে চাইছেন? মানি ম্যানিফেস্টেশনের ৩৬৯ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে দেখবেন না কি

Last Updated:

Money making tips: কেউ যেটা চাইছেন, সেই জিনিসটা নিজের জীবনে পাওয়ার জন্যই ম্যানিফেস্ট করা অত্যন্ত জরুরি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: জীবনে অনেক চাওয়া-পাওয়া থাকে। আর সেই চাওয়া-পাওয়াগুলো পূরণ করার জন্যই ম্যানিফেস্টেশন জরুরি। কিন্তু এই প্রক্রিয়াটা কিন্তু অতটাও সহজ নয়। এর অনেক পন্থাও রয়েছে। আর এই প্রক্রিয়া শুরু করার আগে নিজের মনকে প্রস্তুত করতে হবে। তবে প্রথমেই জানতে হবে যে, ম্যানিফেস্টেশন ঠিক কী।
বড়লোক হতে চাইছেন? মানি ম্যানিফেস্টেশনের ৩৬৯ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে দেখবেন না কি
বড়লোক হতে চাইছেন? মানি ম্যানিফেস্টেশনের ৩৬৯ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে দেখবেন না কি
advertisement

ম্যানিফেস্টেশন:

ম্যানিফেস্টেশন আসলে রূপান্তরের একটি প্রক্রিয়া। আসলে কেউ যেটা চাইছেন, সেই জিনিসটা নিজের জীবনে পাওয়ার জন্যই ম্যানিফেস্ট করা অত্যন্ত জরুরি। এটা একেবারে সরাসরি আকর্ষণের সূত্রের মতো এবং সেই সূত্রের সঙ্গেই কাজ করে। যা খুব শীঘ্রই জীবনে চলে আসবে।

ম্যানিফেস্টশনের অর্থ হল, যা চাইছি সেটার পাওয়ার জন্য সেই ব্যাপারে মনোনিবেশ করতে হবে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অ্যানা ইউসিম (Anna Yusim) এবং রন্ডা বার্ন (Rhonda Byrne)-এর বই এবং ফিল্ম দ্য সিক্রেট (The Secret)-এ এই সর্বজনীন নীতির ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, আমাদের চিন্তাভাবনা কিন্তু বাস্তবেও ফলে যেতে পারে। ইউসিমের বিশ্লেষণ, চেতনে এবং অবচেতনে আমরা যেটা ভাবি, আসলে আমরা সেটাই। অন্য ভাবে বলতে গেলে আমাদের জীবনে আমরা যে জিনিসগুলিকে সবথেকে বেশি আকর্ষণ করি, সেই জিনিসগুলোই আসলে আমাদের মনে চিন্তাভাবনার আকারে ঘোরাফেরা করে।

advertisement

উদাহরণ দিয়ে আরও সহজ ভাবে বলা যাক। ধরা যাক, কেউ এক জন একটা টেবিল বানাতে চাইছেন, এ বার টেবিল বানানোর সেই প্রক্রিয়াটিকে তিনি বারবার মনের চোখ দিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন। আর তিনি ভালো করেই জানবেন যে, সঠিক সরঞ্জাম হাতে পেলেই তিনি সুন্দর একটি টেবিল বানিয়ে ফেলতে পারবেন। আর এ-ভাবে ভাবতে ভাবতে এক সময় তিনি টেবিল বানানোর স্পষ্ট একটি আইডিয়া পেয়ে যাবেন। তা-হলে প্রথমে ভাবনা আসে, তার পর সেই ভাবনাটাকে বাস্তবে রূপান্তর করার কল্পনা ঘুরে বেড়ায় মনে। আর সব শেষে ভাবনাটাকে বাস্তবে পরিণত করার পালা। আর ঠিক এ-ভাবেই ভালবাসা কিংবা প্রাচুর্যকেও ম্যানিফেস্ট করা যেতে পারে।

advertisement

আকর্ষণের সূত্র এ-ক্ষেত্রে কীভাবে কাজ করে

১২টি সর্বজনীন সূত্রের মধ্যে অন্যতম আকর্ষণের সূত্র। আর এই সূত্রের মাধ্যমেই কাজ করে ম্যানিফেস্টেশন। আকর্ষণের সূত্রে বলা হয় যে, ভালবাসা ভালবাসাকে আকর্ষণ করে এবং কেউ যে জিনিসটার উপর মনোনিবেশ করবেন, সেই জিনিসটা তিনি পেয়ে থাকেন। আধ্যাত্মিক লেখিকা শ্যানন কাইজার (Shannon Kaiser) আগেই বলেছেন, আমরা আসলে সবাই অনেকটা চুম্বকের মতো। আর আমাদের মনে যে বিষয়ে চিন্তাভাবনা থাকে, সেই বিষয়টার মধ্যে প্রতিফলন এবং আকর্ষণ দেখা যায়।

advertisement

আসলে যা পেতে চাইছেন, সেটার প্রতি মনে-প্রাণে বিশ্বাস রাখতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ, ধরা যাক, আমরা ভালোবাসা চাইছি। অথচ সেই ভালোবাসা কিংবা আমরা ভালোবাসার যোগ্য- এই বিষয়গুলির উপর বিশ্বাস রাখতে পারছি না। সেটা করলে চলবে না। বরং ভালোবাসার উপর বিশ্বাস রেখে ভালোবাসার এনার্জিকে আকর্ষণ করতে হবে।

ম্যানিফেস্টেশনের সাত পথ:

advertisement

ভাবনাগুলি লিখে ফেলতে হবে:

ম্যানিফেস্টেশন শুরুর প্রথম পদক্ষেপই হল জার্নালিং। ম্যানিফেস্টেশন কোচ ক্যাথলিন ক্যামেরন (Kathleen Cameron)-এর বিশ্লেষণ, ম্যানিফেস্টেশনের অন্যতম প্রধান বিষয়ই হল আমরা নিজেরাই। ফলে স্ব-সচেতনতায় মনোনিবেশ দেওয়াই অন্যতম প্রধান চাবিকাঠি। তাই প্রতিদিন ব্যস্ত রুটিন থেকে সময় বার করে বসে নিজের মনের ভাবনাগুলিকে লিখে ফেলতে হবে। কোথা থেকে বাধা আসছে, সেটা দেখতে হবে এবং সেই বাধা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টাও করতে হবে। নিউরোসায়েন্টিস্ট তারা সোয়ার্ৎ (Tara Swart)-এর পরামর্শ, রোজ জার্নালিং করা হলে অভাবের মানসিকতাকে চিহ্নিত করা যায়।

কল্পনাশক্তি তৈরি করতে হবে:

ম্যানিফেস্টেশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া হল- যেটা চাওয়া হচ্ছে, সেই বিষয়টার ছবি মনের মধ্যে বানিয়ে ফেলতে হবে। রেইকি মাস্টার এবং আধ্যাত্মিক লেখিকা কেলসি প্যাটেল (Kelsey Patel) জানাচ্ছেন, আমাদের উদ্দেশ্যের বিষয়ে মনে যদি স্পষ্ট ধারণা না-থাকে, তা-হলে এমন অন্য সব বিষয়ে জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। যা আমাদের জন্য একেবারেই ভালো নয়। নিজেকে জানার জন্য দারুণ শক্তিশালী পন্থা হল মনে কোনও ছবি কল্পনা করা।

আরও পড়ুন- কেকে-র প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন রূপঙ্করের! প্রয়াত গায়কেরই গান গেয়ে আবেগে ভাসলেন তিনি

মনের চোখ দিয়ে দেখা:

যেটা চাওয়া হচ্ছে সেটাকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে মনের চোখ দিয়ে দেখতে হবে। যাতে আমরা সেই জিনিসটাকে আকর্ষণ করতে পারি। ক্যামেরনের ব্যাখ্যা, ধরা যাক আমরা নিজেদের জীবনে একটা জিনিস আনতে চাইছি। আর ওই জিনিসটাই আমাদের চাহিদা অনুযায়ী সেই অভিজ্ঞতার স্বাদ দিতে পারবে।

আদর্শ জীবন কেমন হবে, তার একটা তালিকা বানাতে হবে:

ক্যামেরনের পরামর্শ, নিজের জীবনে কেউ যা যা চাইছেন, সেই বিষয়গুলির একটা বিস্তারিত তালিকা তৈরি করতে হবে। আর এটাও ম্যানিফেস্টেশনের আরও একটা উপায়। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ধরা যাক, কেউ ৫০টি জিনিস চাইছেন। এ-ক্ষেত্রে তিনি মাত্র ২০টা জিনিসের তালিকা বানালেন। তা-হলে কিন্তু চলবে না। আসলে বিস্তারিত তালিকা বানালে সেটা মনের চোখ দিয়ে দেখতেও অনেক সুবিধা হয়। আর এমন ভাবে অনুভব করতে হবে যেন সেটা বাস্তবেই ঘটছে। তাই বলা যেতেই পারে যে, এর অন্যতম গোপন সূত্রই হচ্ছে অনুভূতি।

আরও পড়ুন- LIC-র শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুখবর, গত এক বছরে বিশাল বৃদ্ধি কোম্পানির এমবেডেড ভ্যালুতে!

৩৬৯-এর পদ্ধতি:

অনেকেরই অন্যতম পছন্দের ম্যানিফেস্টেশন পদ্ধতিই হল ৩৬৯-এর পদ্ধতি। এটা আসলে কী, সেই বিশয়ে বিশদে আলোচনা করা যাক। এই পদ্ধতির অর্থ হল, যা কেউ ম্যানিফেস্ট করতে চাইছেন, সেটা সকালে তিন বার লিখতে হবে। আবার ওই একই জিনিস বিকালে মোট ৬ বার লিখে ফেলতে হবে। আর সব শেষে নিজের সেই একই চাহিদা সন্ধেবেলায় মোট ৯ বার লিখতে হবে। যতদিন না ইচ্ছে পূরণ হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত রোজ এই পদ্ধতির পুনরাবৃত্তি করতে হবে।

আসলে আপনি মনে মনে যেটা চাইছেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে সেই বিষয়টা মনের মধ্যে একেবারে গেঁথে যেতে শুরু করবে। এমনকী অবচেতনেও ওই ভাবনা মনে ঘুরপাক খেতে থাকবে। হিপনোটিস্ট শনা কামিনস (Shauna Cummins) আগেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, আসলে এই পদ্ধতিটা মনকে দিশা দিতেও সাহায্য করে থাকে। আমাদের মন কী চাইছে, সেই লক্ষ্য খুঁজে বার করতেও সহায়ক এই পদ্ধতিটি। আর এর ফলে মনের ইচ্ছেটাকে বাস্তব রূপ দান করার জোরটা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

ইতিবাচক চিন্তাধারা:

৩৬৯ পদ্ধতির মতোই দিনভর ইতিবাচক নিশ্চিতকরণের পুনরাবৃত্তিও খুবই ভালো একটি উপায়। এর মাধ্যমে আসলে নিজের মনের চিন্তাধারাকে জাগিয়ে তোলা সম্ভব। আর আমরা জানি যে, নেতিবাচক চিন্তাভাবনার ধরমধারন ম্যানিফেস্টেশনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই নিশ্চিতকরণ চিন্তার সেই ধারাকে ভাঙতে সাহায্য করে। তাই সব সময় ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা বজায় রাখতে হবে। যেমন- নিজেকেই নিজে বলতে হবে যে, ‘আমি যোগ্য’। অথবা ‘ভালবাসা সব সময় আমার সঙ্গেই থাকবে’। কিংবা ‘এক দিন ঠিক আমার স্বপ্নের পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারব’।

পদক্ষেপ গ্রহণ:

সর্বশেষ এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পন্থা হল - পদক্ষেপ করতে হবে। আমরা যেটা চাই, সেটা লিখে ফেলতেই পারি, কিন্তু সেই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না-করলে সবটাই বৃথা যাবে। অর্থাৎ ম্যানিফেস্টেশনের প্রক্রিয়াটাই অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। ক্যামেরনের বক্তব্য, নিজের জন্য ঠিক যেমন জীবন চাইছেন, তেমনটাই অনুভব করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, সেই অনুযায়ী আচরণ করা উচিত। অর্থাৎ পুরনো জীবনের খোলস ত্যাগ করে নিজের চাহিদা অনুযায়ী নতুন সেই জীবনের ধরনের প্রেক্ষিতেই আচরণ করা বাঞ্ছনীয়। তবে তার মানে এই নয় যে, ধনী হতে চেয়ে সমস্ত অর্থ দুহাতে উড়িয়ে দিতে হবে। এ-ক্ষেত্রে নিজের এই ধরনের ভাবনাগুলিকে জড়ো করতে হবে। আর ভাবতে হবে যে, আপনি বিলাসবহুল জীবন যাপন করছেন।

এমন কি কোনও ম্যানিফেস্টেশন পদ্ধতি রয়েছে, যা কাজ করবে না?

আসলে ম্যানিফেস্টেশন প্রক্রিয়া আমাদের সাহায্য করতে পারে। তবে এটা একেবারেই অন্তরের কাজ। এমন কোনও ম্যানিফেস্টেশন পদ্ধতি নেই, যা কাজে আসে না। আবার এমনও কোনও ম্যানিফেস্টেশনের পদ্ধতি নেই, যা ১০০ শতাংশ কাজে দেয়। ক্যামেরন ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, ম্যানিফেস্টেশন প্রক্রিয়া আসলে মনের ইচ্ছেগুলোকে বাস্তব রূপ দেওয়ার অতিরিক্ত একটি দিক।

আবার ম্যানিফেস্টেশনের বিষয়ে মানুষের মনে একটা ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকেই ভাবেন যে, নিজেদের মনের ভিতরে কোনও পরিবর্তন আনার প্রয়োজন নেই। আসল বিষয়টা হল, নিজের মনকেই বদলানো সবথেকে জরুরি। ক্যামেরনের বিশ্লেষণ, প্রচুর সময় নিয়ে ইচ্ছের কথাগুলো লেখা হল। অথচ নিজে যেটা চাওয়া হচ্ছে, সেটাকেই অবহেলা করা হল। আর এমনটা করলে কখনওই ফল মিলবে না।

ভবিষ্যতে নিজেকে কেমন জায়গায় দেখতে চাইছেন কিংবা নিজের ভবিষ্যৎ কেমন হবে, সেটার বিষয়ে কল্পনার চোখে দেখতে হবে এবং সেই ধরনের ভাবনাগুলোকে এক জায়গায় জড়ো করতে হবে। আর নিজের ভাবনার মতোই আচরণও করা বাঞ্ছনীয়। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, পদ্ধতি নয়, বরং মানসিকতা কিংবা ভাবনা-চিন্তাই ম্যানিফেস্টেশনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য।

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Money making tips: বড়লোক হতে চাইছেন? মানি ম্যানিফেস্টেশনের ৩৬৯ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে দেখবেন না কি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল