মাছ ব্যবসায়ী রফিকুল মিঞা জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে তিনি এই মাছের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। প্রতি বছর এই মরসুম তিনি ব্যবসা শুরু করেন। তাঁর মূলত দেশির মাছ চাষে বেশি আগ্রহ। কারণ, এই মাছ খুব সহজেই চাষ করা যায়। এছাড়া, মাছের গুণগত মান রয়েছে অনেকটাই। ফলে এই মাছ গুলির বাজারে চাহিদা থাকে অনেক বেশি। মাছ চাষ করার মাধ্যমে যেকোনও ব্যক্তি খুব সহজেই খরচের দ্বিগুণ আয় পেতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে পুকুরের জলের। নাহলে মাছের ক্ষতি হয়ে মাছ মারা যেতে পারে।”
advertisement
তিনি আরোও জানান, “বৃষ্টির জলে পুকুর ভরলে পুকুরের জলে পর্যাপ্ত পরিমাণ চুন দিতে হবে। তারপর কয়েকদিন বাদে সেই পুকুরে মাছ ছাড়তে পারবেন ব্যবসায়ী। তবে মাছের খাদ্যের মধ্যে খোল এবং বাজারে বেশকিছু খাবার পাওয়া যায়, সেগুলি ব্যবহার করা ভাল। তবে মাছের মান ভাল থাকে।” আরেক ব্যবসায়ী জাইদুল মিঞা জানান, “বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে জিওল মাছের। তাই সেই মাছ চাষ করলে লাভ আসবেই। এছাড়া বাড়ির ছোট্ট চৌবাচ্চার মধ্যেও এই মাছের চাষ করা সম্ভব। তবে যত্ন নিতে হয় পর্যাপ্ত পরিমাণ।”
আরও পড়ুন: দিঘি থেকে উঠে এসে আটকে গেল গাছের গুঁড়িতে ওটা কী! দেখতে ভিড় জমাল গোটা পাড়া
যদিও বর্তমানে বাজারে একাধিক প্রজাতির চালানি মাছের আমদানি করা হয়। তবুও জেলার স্থানীয় মাছের স্বাদ ও গুণকে টেক্কা দিতে পারবেনা চালানি মাছ। তাই এই ধরনের মাছ চাষ করার মাধ্যমে খুব সহজেই ব্যবসায়ী আর্থিক লাভের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারবেন। খরচের দ্বিগুণ আয় করার মাধ্যমে অন্যান্য ব্যবসার চাইতে এই কাকে আর্থিক লাভ অনেকটাই বেশি।
Sarthak Pandit