বিস্তারিত জানাচ্ছেন অভিজ্ঞ এক মাছ চাষি। সময়ে পুকুরে মাছ ছাড়া, মাছ বিক্রি করা, মাছের অনুপাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার দেওয়া এবং পুকুরের যত্ন নিতে পারলেই যে কেউ মাছ চাষী হবেন লাভবান।
আরও পড়ুন: সোনার দামে বিরাট বদল, ২২ ক্যারেটের দাম ছাড়িয়ে গেল ৮০ হাজার টাকা
মাছ চাষের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হল জল বা পুকুরে প্রতিদিনের অবস্থা নির্ণয়। প্রতিদিন সকালে পুকুর পরিদর্শনে বোঝা যাবে কোন দিন কতটুকু পরিমান কি খাবার দেওয়া প্রয়োজন। চাষির এই অভিজ্ঞতা থাকলে সহজে লোকসান হবে না মাছ চাষে।
advertisement
পুকুর পরিচর্যার জন্য প্রতি মাস অন্তর চুন ব্যবহারের বিকল্প নেই। একই সঙ্গে প্রতিমাসে পুকুরে জাল দেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রতি কুইন্টাল মাছ পিছু ২-৪ কেজি খাবার। সাধারণত নিম মহুয়া সর্ষে হল বাজারে পাওয়া রেডিমেড খাবারের থেকেও বেশি উপকারি মাছের জন্য, জানাচ্ছেন অভিজ্ঞ মাছ চাষি। পৌষ মাঘ মাসের পর থেকে এই কয়েক মাস পুকুরে চারা মাছ ছাড়ার উপযুক্ত সময়। মাছ ছাড়ার আগে চুন দিয়ে পুকুর পরিষ্কার এবং খোল ব্যবহার করে পুকুর তৈরি করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: সোনা কেনার সময় সাবধান ! আপনি শুধু এই টিপসগুলো মাথায় রাখুন, না হলে ঠকে যেতে পারেন
নির্দিষ্ট দিন অন্তর পুকুরে জাল দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। মিঠা জলের মাছ রুই কাতলা এবং মৃগেল নির্দিষ্ট অনুপাতে চাষ করতে হবে। যে পুকুরে বক পানকৌড়ির মত পাখির উপদ্রব রয়েছে সেখানে ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম ওজনের মাছ ছাড়া লাভজনক।এ প্রসঙ্গে একজন সফল মাছ চাষি শেখ মিজানুর রহমান জানান, মাছ চাষ ব্যয়বহুল একটি ব্যবসা। পুকুরে কম খরচ করে চাষ করলে মাছ বেঁচে থাকবে মাছের বৃদ্ধি কম হবে। ফলে লাভের পরিমাণ কম হবে। পর্যাপ্ত খাবার দিতে পারলে মাছ চাষ প্রায় ৪০% পর্যন্ত লাভ হতে পারে।
রাকেশ মাইতি