জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের সাহা পাড়া, পাশাপাশি আরও কয়েকটি পাড়ায় সকাল বেলা থেকেই ব্যস্ততা তুঙ্গে। বাড়ির মহিলারা ঘুম ভাঙতেই বসে পড়েন ডাল বাটার কাজে। শীত নামলেই যে এখানে শুরু হয় ‘বড়ির মরশুম’। শোনা যায়, এই বড়ি শুধু উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গেই নয়, পৌঁছে যায় দেশের সীমানা পার করে বিদেশেও। অরুণাচল প্রদেশ, শিলচর, ত্রিপুরা, আসামের বাজারেও ময়নাগুড়ির ডালের বড়ির চাহিদা দীর্ঘদিনের। এমনকি অনলাইনের মাধ্যমেও এখন অনেকেই অর্ডার দিচ্ছেন। এছাড়াও চিন থেকে শুরু করে অন্যান্য দেশেও নাকি পৌঁছে যায় এই বড়ি।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, শুধু স্বাদ নয়, এখানকার বড়ির বৈশিষ্ট্য এর হাতের ছোঁয়ায়। বাড়ির মহিলারাই মূল কারিগর। কেউ কেউ এখন আধুনিক যন্ত্রের সাহায্য নিলেও, বেশিরভাগ বড়ি এখনও তৈরি হয় ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে ডাল ভিজিয়ে, বেটে, মশলা মিশিয়ে হাতে গড়া আকারে। আশ্বিনের শেষে পুজো কাটতেই বাতাসে হিমের পরশ লাগলে শুরু হয় এই বড়ি দেওয়া। রোদে শুকিয়ে ধীরে ধীরে প্রস্তুত হয় শীতের বিশেষ ভুরিভোজের সঙ্গী।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
হাজার হাজার কেজি মুগ ডাল, মাসকলাই, ছোলা, এমনকি মিশ্র ডাল বেঁটে তৈরি হয় বড়ি। একেকটির স্বাদ একেক রকম। ভাতের সঙ্গে বড়ি ভাজা, বড়ি চচ্চড়ি, লাউ বড়ি বা আলু বড়ি তরকারি …বাঙালি রান্নাঘরে বড়ির কদর চিরন্তন। এই বড়ি তৈরি আয়ের উৎস তো বটেই, এটি এখানে এক ধরনের সামাজিক মিলনমেলা যেন। উঠোনে বসে বড়ি দেওয়ার ফাঁকে চলে গল্প, হাসি আর দিনযাপনের ছোট ছোট সুখ!





