এই মাটিতে শসা চাষের জন্য রাসায়নিক বা জৈব সার থাকে। যা ধান তোলার পর অব্যবহৃত অবস্থায় চাষের মাঠে পড়ে থেকে নষ্ট হয়। বাজারে বিভিন্ন জাতের শসার বীজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এলাকায় মূলত দু’টি জাতের চাষ বেশি হয়। মাচা শসা ও জমির শসা। শসা চাষ মূলত গ্রীষ্মকালের ফসল। ধান চাষের পরেই সেই জমিতেই শসার চাষ করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ১০০% গ্যারেন্টিড রিটার্ন ! প্রতিদিন ৩৩৩ টাকা জমা করে পেয়ে যাবেন ১৭ লাখ টাকার বেশি
ধান তুলে নেওয়ার পরেই শসার বীজ ছড়িয়ে দিয়ে থান তৈরি করে এই চাষ করা হয়। বীজ থেকে চারা বের হওয়ার পর মূলত মাটি আলগা করা এবং ঘাস পরিষ্কার করা হয় । ছোট ছোট বাঁশ ও কঞ্চি দিয়ে মাচা এই চাষের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সত্যি কথা বলতে কি শসা চাষের জন্য মূলত তেমন খুব একটা সারের কোনও প্রয়োজন হয় না।
আরও পড়ুন: PM Kisan: এই ৪টি কাজ না করলে মিলবে না পিএম কিষান যোজনার টাকা !
ধান চাষের পর জমিতে যে রাসায়নিক ও জৈবিক সার পড়ে থাকে মূলত ওই সার দিয়েই শসার ফলন সম্ভব। এছাড়া, একান্ত প্রয়োজনে কম-বেশি জৈবিক সার প্রয়োগ করা যেতে পারে। ছড়ানেবীজ থেকে শসার চারা জন্মানোর ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে কিছু জৈবিক সার দেওয়া যেতে পারে।
শসা গাছে ফুল ফোটার পর মূলত পোকামাকড়ের আক্রমণ বেশি হয়। ফল ও পাতা ছিদ্রকারী পোকার জন্য কিছু কীটনাশক স্প্রে করা যেতে পারে।মাচার শসা চাষের জন্য মূলত রোগের তেমন প্রাদুর্ভাব দেখা যায় না। চাষের জন্য মূলত যেটি প্রয়োজন গাছের গোড়ায় যেন কোনওভাবেই জল না দাঁড়ায়। প্রখর রোদ ও বৃষ্টির ফলে শসা গাছ খুব ভালহয়।
সুমন সাহা