উদ্যোগপতিদের কাছে হয়ত তারাই এখন ‘এন্টারপ্রেনার’। তাই তো কলকাতা থেকে উদ্যোগপতিরা এসে বালুরঘাটের আত্রেয়ী পাড়ের মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে কুইন্টাল কুইন্টাল মাছের আঁশ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। যা একাধিক প্রক্রিয়া পার করে বিভিন্ন কাজের জন্য দেশের বাইরে রফতানি করা হচ্ছে।
advertisement
মূলত, ফুড সাপ্লিমেন্ট থেকে নেল পেইন্ট, এমনকি রকমারি চুমকি তৈরির ক্ষেত্রে কাঁচামাল হিসেবে কাজে লাগছে মাছের আঁশ। বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর মাছের আঁশ বিক্রি করেই আয়ের পথ খুঁজে পাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। নদীর পাশে দেখা যাচ্ছে তাঁরা মূলত রুই ও কাতল মাছের আঁশ শুকোতে দিচ্ছেন। সারাদিন শুকানোর পরে তাঁরা এক জায়গায় করে বিকেল নাগাদ তুলে নিচ্ছে। তারপরে প্রায় ১০ কুইন্টাল শুকনো আঁশ জমা হলে কলকাতা থেকে উদ্যোগপতিরা এসে তা সংগ্রহ করছেন। ট্রাক করে মাছের আঁশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কলকাতায়। যেখানে প্রক্রিয়াকরণ করে গুড়ো করা হয় আঁশগুলোকে। তারপর পালিশ করা হয় অথবা বিভিন্ন পাউডার লাগিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। শেষে জাহাজ করে তা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিদেশে। সেখান থেকেই ক্রমশ তৈরি হয় ফুড সাপ্লিমেন্ট, নেইল পেইন্ট, চুমকি সহ আরও কত কি!
আত্রেয়ী নদীর মাছের স্বাদ নামকরা। নদীর বড় মাছের আঁশও মৎস্যজীবীদের কর্মসংস্থানের হদিস দিচ্ছে। ছোট বড় বিভিন্ন আকারের মাছের আঁশ আলাদা আলাদা করে শুকিয়ে তারপরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিকোচ্ছে আঁশ। প্রথমে একজন এই কাজ শুরু করলেও এখন সেই সংখ্যা বাড়ছে। প্রতি কুইন্টাল আঁশের দাম চার হাজার টাকা। কখনও দাম বেড়েও যায়। এভাবেই মৎস্যজীবীরা খুঁজে নিচ্ছে আয়ের নতুন দিশা। এর ফলে মাছ বাজারও থাকছে পরিষ্কার। কিছুই যে ফেলনা নয়, তা প্রমাণ করছে বালুরঘাটের ধীবর গোষ্ঠী।
সুস্মিতা গোস্বামী





