মাদল বাবুর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ তিনি ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে কৃষি সম্মান পুরস্কারও পেয়েছেন । সম্প্রতি নিজের বাগানে তিনি কফি চাষ শুরু করেছেন, চাষের জন্য তিনি অ্যারাবিকা জাতের কফি বেছে নিয়েছেন। কফি চাষের কয়েক বছরের মধ্যেই ভালই ফলনও পেয়েছেন তিনি। তার কোথায় যে কেউ চাইলে বাড়িতেই এই কপি চাষ করতে পারবেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বইপ্রেমীদের জন্য সুখবর! উৎসবের মরশুমে শুরু হয়ে গেল বই পার্বণ, কোথায় হচ্ছে, কতদিন চলবে জানুন
এক বিঘা জমিতে কফি চাষ করতে ২০০টি চারা গাছ প্রয়োজন। কফি চারা লাগাতে খরচ পড়বে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। একবার চারা গাছ রোপণ করার পর চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে গাছ ফলন দিতে শুরু করে। মাদল বাবু জানিয়েছেন, প্রতি গাছ থেকে বছরে প্রায় এক থেকে দুই কেজি কফি সংগ্রহ করা যায়। বাজারে এই অ্যারাবিকা কফি অন্যান্য জাতের তুলনায় সুস্বাদু এবং দামও অনেক বেশি।
চাষের সময় অত্যধিক কীটনাশক প্রয়োজন হয় না, তাই খরচও তুলনামূলকভাবে কম থাকে। তবে সময় মতো আগাছা এবং পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
কফি চাষের জন্য মাটি হিসেবে বেলে দোআঁশ মাটি সবচেয়ে উপযুক্ত বলা হয়, তবে মাদল বাবু এটেল মাটিতেও চাষ করেছেন এবং ভাল ফলন পেয়েছেন। শুধু এটেল মাটিতে চারা রোপণের সময় কিছু পরিমাণ জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। তাঁর, কথায় যে কেউ চাইলে নিজ বাড়ির পতিত জমিতে সহজেই এই কফি চাষ শুরু করতে পারেন। যেহেতু চারা গাছ রোপণের সময় কিছু খরচ হয়, বাকি সময় খরচ প্রায় নেই, তাই লাভের পরিমাণ অনেক বেশি।
মাদল বাবুর এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, অল্প খরচে নিজের বাড়িতেও কফি চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে সফল হওয়া সম্ভব। শুধু প্রয়োজন উদ্যোগ আর পরিশ্রম। যারা কৃষিকাজ করে মোটা অংকের লাভ পেতে চান, তাঁদের জন্য মাদল বাবুর কফি চাষের দিশা অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে।





