দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে নানা সামগ্রী উৎপাদনের যেমন বড়বড় কারখানা রয়েছে তেমনই ছোট্ট অন্ধকারছন্ন একটি কারখানায় প্রতিদিন লক্ষাধিক মোমবাতি উৎপাদিত হয়ে চলেছে। শহরের ঘিঞ্জি এলাকা বেনাচিতি বাজার সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ওই মোমবাতির কারখানা। প্রায় ৪০ বছর ধরে নানা ধরনের মোমবাতি তৈরি হচ্ছে এখানে। এক ইঞ্চি থেকে ৬ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত বিশাল বিশাল আকৃতির মোমবাতি তৈরি করা হয় ওই কারখানায়।
advertisement
আরও পড়ুন: দীপাবলির আগে বাজারে হিট ইয়া বড় মোমবাতি! দাম সাধ্যের মধ্যে, জানুন কত
কালীপুজো ও দীপাবলির সময় কারখানার কারিগরদের মধ্যে কর্ম ব্যস্ততা থাকে চরমে। দীর্ঘদিন দিন ধরে প্রায় ১০ জন মহিলা সহ কয়েকজন পুরুষ কারিগর কারখায় মোমবাতি তৈরি করে চলেছেন। সারাবছর এই মোমবাতির তেমন চাহিদা না থাকলেও এই মরশুমে চাহিদা থাকে তুঙ্গে। উৎপাদিত মোমবাতি শিল্পাঞ্চল ছাড়াও ভিন জেলায় যায়। চটজলদি দেখে নিন মোমবাতি তৈরির পদ্ধতি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পেট্রোলিয়াম থেকে প্যারাফিন মোম পাওয়া যায়। মোমবাতি তৈরির কারখানা মূলত প্যারাফিন মোম থেকে মোমবাতি তৈরি করা হয়ে থাকে। কঠিন উপাদান প্যারাফিন মোম প্রথমে আগুনে গলিয়ে তরল করা হয়। ওই গলিত মোম বিভিন্ন আকারের মোমবাতির ছাঁচে ঢেলে দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে মোমের ছাঁচ পরিষ্কার করে সুতো লাগান হয়, তারপর গলানো মোম ছাঁচে ঢেলে ঠাণ্ডা হতে দেওয়া হয়। ছাঁচের দুপাশে আছে ঠাণ্ডা জল। ঠাণ্ডা হয়ে মোম জমে গেলে ছাঁচ থেকে সাবধানে বের করে নেওয়া হয়। এইভাবে মোমবাতি তৈরি করে আপনিও রোজগারের দিশা দেখতে পারেন।
মোমবাতি বানানোর পদ্ধতি বেশ সহজ এবং কম সময়েই শেখা যায়। খুব বেশি জায়গা অথবা পরিকাঠামোর প্রয়োজন হয় না, তাই শহর অথবা গ্রাম উভয় স্থানেই এই কারখানা স্থাপন করা যায়। মোমবাতি তৈরি প্রধান উপকরণগুলি হল মোম, মোমবাতির সলতের জন্য ব্যবহৃত সুতো, নানা রকমের রঙ। আর সরঞ্জাম হিসেবে প্রয়োজন হয় মোম গলানোর বিশাল একটি লোহার কড়াই। বিভিন্ন আকার ও আকৃতির ছাঁচ, বালতি ইত্যাদি। এছাড়াও বড় আকারের কারখানাগুলিতে মোমবাতি তৈরির জন্য বিশেষ মেশিন ব্যবহার করা হয়।