পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের এই গ্রামে এলে শুধু শীত নয় সব কালেই গ্রামের বেশিরভাগ বাড়ির ছাদ উঠোন জুড়ে দেখবেন বাহারী নকশার চোখ ধাঁধান সব বড়ি। নানান চোখ ধাঁধান ডিজাইনের বড়ি তৈরি এখানকার মহিলাদের বংশ পরম্পরা থেকে পাওয়া এক গুণ।পোস্ত বড়ি,ফুল বড়ি,গয়না বড়ি নানান নাম সব। বছর ৬৫ এর *পদ্মাবতী* মণ্ডল অধিকারি জানালেন,বিশ্বভারতী থেকে ডাক পেয়েছিলেন এই বড়ি তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য। হালে গ্রামের মহিলারা সংঘবদ্ধ হয়েছেন। আজ তারা ১০ জনের এক একটি গ্রুপ করে এই বড়ি তৈরির কাজ করে স্বনির্ভর হয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: অবসর গ্রহণের পর Emergency Fund হিসেবে আপনার কত টাকা রাখা উচিত?
এই বড়ির জোরেই আজ এই গ্রামের গৃহবধূরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। বছর ৫৫ এর অঞ্জনা সামন্ত জানালেন সালটা ২০০৮ মোড় ঘুরে যায় তাঁদের জীবনের। পরিবারের জন্য বানান বড়ি তাদের আঁচলের খুঁটোয় আয় দিতে শুরু করে। পূর্ব মেদিনীপুরের কেটিপিপি মেলা থেকে একবারে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিল তাদের হাতের তৈরি বড়ি।তারপর থেকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি। আজ চাহিদা বেড়েছে বহু। বর্তমান সরকারও তাদের নানান সরকারি মেলায় ডাক দিচ্ছে। দেদার বিকোচ্ছে তাদের হাতে তৈরি গয়না বড়ি।
আরও পড়ুন: EMI vs Rent: ভাড়া দেবেন না কি EMI দেবেন? বাড়ি কেনার আগে এই হিসেবটি বুঝে নিন
সংসার চালাতে এখানে গ্রামের পুরুষদেরকে টেক্কা দিচ্ছে মহিলারা। শুনলে অবাক হবেন এবার এই গয়না বড়িই স্থান পাচ্ছে কলকাতার রামমোহন সম্মিলনীর ৮১ তম দুর্গোৎসবের দেবী মায়ের অঙ্গে। মাছে ভাতে বাঙালির শুক্তো থেকে শাক চচ্চড়িকে যে বড়ি, স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় করেছে,সাধারণ আলুভাতেকে অসাধারণ করেছে, সেই বড়িই আজ গ্রামের মহিলাদের নিজের পায়ে দাঁড় করিয়ে স্বনির্ভর করে মুখে চওড়া হাসি এনে দিয়েছে। বলতেই হয় এ বড়ি এই গ্রামের মহিলাদের জোগাচ্ছে কড়ি।
মিজানুর রহমান: