জেলায় অবশ্য এখনও পর্যন্ত সেভাবে উপলব্ধ নয় ফুলের বীজ বা ফুলের জন্য প্রয়োজন সার ও ওষুধ। এরপরেও বালুরঘাট ব্লকের মাহিনগর, পাগলীগঞ্জ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার প্রচুর কৃষক ধান, সবজি-সহ অন্যান্য চাষ বন্ধ করে তাঁরা ঝুঁকেছেন গাঁদা ফুল চাষের দিকে। ফুল চাষিদের পক্ষ থেকে জানা যায়, “ধান কিংবা অন্যান্য সবজি চাষ করতে গেলে যে পরিমাণ মূলধনের প্রয়োজন তার থেকে অনেকটাই লাগে। এই ফুল চাষে এমনকি দৈহিক পরিশ্রমের পরিমাণও অনেকটাই কম। এর ফলে এই বিস্তীর্ণ এলাকার বহু কৃষকেরা গাঁদা ফুল চাষে মনোযোগী হয়েছেন।”
advertisement
বালুরঘাট বাজার-সহ জেলার অন্যান্য বাজারে গাঁদা ফুলের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। পুজোর মরশুমে এবার ফুল বিক্রি হয়েছে পাইকারি বাজারে প্রায় ২০০ টাকা কেজি। এখন যখন ফুল ফোটা শুরু হয়েছে তখন দাম চলছে প্রায় ৫০ টাকা প্রতি কেজি পাইকারি বাজারে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও দাম পেয়ে তাঁরা অত্যন্ত খুশি। তার কারণ ধান চাষ করে বা অন্যান্য চাষ করে যে লাভ তাদের ঘরে আসত, তার থেকে অনেক বেশি লাভ তাঁরা করতে পারছেন।শুধু তা নয়, অবসর সময়ে বাড়ির মহিলারাও ফুল তোলার কাজে নিজেদের শ্রম দিতে পারছেন। যা অনেকটাই সাশ্রয়কারি।
তবে, দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গের শীতের প্রকোপ এর সঙ্গে কুয়াশা দীর্ঘ সময় থাকার কারণে ফুলের উৎপাদন ব্যাঘাত ঘটে উত্তরের জেলাগুলিতে। সেখান থেকেও নিস্তার পাওয়ার কোনও রাস্তা জানা নেই কৃষকদের। বিজ্ঞানসম্মত প্রশিক্ষণ এবং সঠিক পরামর্শ পেলে উত্তরের কৃষকরা ও পাল্লা দিতে পারবে দক্ষিণের ফুল চাষিদের সঙ্গে।
সুস্মিতা গোস্বামী