বিনিয়োগকারী যদি ২ বছরের জন্য নিজের কাছে কোনও সম্পত্তি রাখেন এবং তারপর বিক্রি করে দেন তাহলে বিক্রয় থেকে পাওয়া লাভের উপর ট্যাক্স দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে করের হার ২০ শতাংশ। তাই এলটিসিজিটি থেকে বাঁচতে সম্পদ বিক্রির ৬ মাসের মধ্যে এই বন্ডগুলিতে বিনিয়োগ করা উচিত।
আরও পড়ুন-সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য চিলড্রেন ফান্ডে বিনিয়োগ আদৌ লাভজনক? বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
advertisement
সুবিধা: সম্পত্তি বিক্রি করে পাওয়া লাভ গ্রামীণ বিদ্যুতায়ণ কর্পোরেশনের মতো পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস দ্বারা জারি করা বন্ডগুলিতে বিনিয়োগ করে দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভ কর বাঁচানো যায়। আয়কর আইনের ৫৪ ইসি ধারার অধীনে দেশের কোনও নাগরিক তার আবাসিক সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে সংগ্রহ করা তাদের দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভের ওপর একটি ছাড় পেতে সক্ষম হবে। উল্লেখ্য, ১ এপ্রিল ২০২২ থেকে নতুন বন্ড ইস্যু করা শুরু করেছে গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন কর্পোরেশন। এই বন্ডগুলো সরকার সমর্থিত, তাই সম্পূর্ণ নিরাপদ। মেয়াদ শেষের পর বন্ড থেকে প্রাপ্ত টাকাও করমুক্ত। তাই কর সাশ্রয়ের জন্য একজন করদাতাকে অন্য কোথাও বিনিয়োগ করার প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন-চালক কোথায়? শোরগোল কলকাতা মেট্রো রেলে
গণনা: ধরা যাক, বিনিয়োগকারী ৩৫ লাখ টাকায় একটি সম্পত্তি কিনেছিলেন। ৩ বছর পর ৬০ লাখ টাকায় সেটা বিক্রি করেছেন। এখানে মূলধনী লাভ দাঁড়াল ২৫ লাখ টাকা। এখন বিনিয়োগকারী লাভের টাকা ৬ মাস পর্যন্ত নিজের কাছে রাখতে পারেন, কোনও মূলধনী লাভ দিতে হবে না। এর মধ্যে বিনিয়োগকারীকে হয় অন্য সম্পত্তি কিনতে হবে, নয়ত ২০ শতাংশ হারে মূলধনী লাভ কর দিতে হবে। এখন বিনিয়োগকারী যদি ওই টাকায় সম্পত্তি কিনতে না চান তাহলে গ্রামীণ বিদ্যুতায়ণ কর্পোরেশনের বন্ড কিনে কর বাঁচাতে পারেন।
এতে বিনিয়োগকারী তিনটি সুবিধা পাবেন। প্রথমত, ২০ শতাংশ হারে দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভ কর দিতে হবে না। দ্বিতীয়ত, বার্ষিক ৫ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যাবে। এবং তৃতীয়ত, সরকারি গ্যারান্টির কারণে বিনিয়োগ ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে না। প্রসঙ্গত, একজন বিনিয়োগকারী এক অর্থবর্ষে এই বন্ডগুলিতে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন।