TRENDING:

পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিমে টাকা খাটাচ্ছেন? সবার আগে মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলো

Last Updated:

যে কোনও বিনিয়োগ প্রকল্পের সুবিধা এবং অসুবিধা দুই দিকই থাকে, বিনিয়োগের পূর্বে যা খেয়াল না রাখলেই নয়-

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: ইদানীং পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিম নিয়ে ব্যাপক চর্চা চলছে। এই স্কিমে গ্রাহক নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করেন এবং তার উপর প্রতি মাসে সুদ পান। ২০২৩-এর বাজেটে এই স্কিমে কিছু পরিবর্তন করেছে কেন্দ্র সরকার। সিঙ্গল অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ জমার সীমা ৪.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। অন্য দিকে, জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের সর্বোচ্চ সীমা ৯ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা।
advertisement

সরকারি খাতের যে কোনও ব্যাঙ্কের মতো, টাকা জমা এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পোস্ট অফিসকেও চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়। দেশ জুড়ে পোস্ট অফিসের অজস্র শাখা রয়েছে। ফলে ভারতের যে কোনও প্রান্ত থেকে পোস্ট অফিসের বিভিন্ন সঞ্চয় স্কিমের সুবিধা পেতে অসুবিধা হয় না। পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিম এরকমই একটি সঞ্চয় প্রকল্প।

advertisement

আরও পড়ুন: সেভিংস অ্যাকাউন্টে কত টাকা রাখা উচিত? জেনে রাখলে টাকা বাড়বে বই কমবে না

পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিমের মেয়াদ ৫ বছর। মূলধন সুরক্ষাই এই স্কিমের প্রধান উদ্দেশ্য। এপ্রিল-জুন ২০২৩-এ সুদের হার যাচ্ছে ৭.৪০ শতাংশ। অর্থাৎ যদি কেউ পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিমে ৯ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে ৭.৪০ শতাংশ সুদের হারে তিনি প্রতি মাসে ৫,৫৫০ টাকা পাবেন। মেয়াদ শেষ হলে তিনি তাঁর আমানত অর্থাৎ ৯ লক্ষ টাকা তুলে নিতে পারেন অথবা ইলেকট্রনিক ক্লিয়ারেন্স পরিষেবার মাধ্যমে সেভিংস অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে পারেন। আবার চাইলে এই স্কিমে পুনরায় বিনিয়োগ করা যায়।

advertisement

পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিমের বৈশিষ্ট এবং সুবিধা: মূলধন সুরক্ষা – বিনিয়োগ করা অর্থ মেয়াদের সময়কাল পর্যন্ত সুরক্ষিত। কারণ এটি সরকার সমর্থিত স্কিম।

মেয়াদ – পোস্ট অফিস এমআইএস-এর লক ইন পিরিয়ড ৫ বছর। মেয়াদ শেষ হলে বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করা অর্থ তুলে নিতে পারেন কিংবা পুনরায় বিনিয়োগ করতে পারেন।

কম ঝুঁকি – এই ফিক্সড ইনকাম স্কিমের সঙ্গে বাজারের কোনও সম্পর্ক নেই। ফলে বিনিয়োগ করা অর্থ সম্পূর্ণ নিরাপদ।

advertisement

আরও পড়ুন: প্রতি মাসে কৃষকরা পেয়ে যাবেন ৩ হাজার টাকা পেনশন, করতে মাত্র সহজ একটি কাজ

সাধ্যের মধ্যে – মাত্র ১০০০ টাকা দিয়ে এমআইএস করা যায়।

নিশ্চিত রিটার্ন – বিনিয়োগকারী এই স্কিমে প্রতি মাসে সুদ পান। এটাই আয়। এমআইএস-এর রিটার্ন মুদ্রাস্ফীতিকে হারাতে পারে না ঠিকই, তবে এফডি-র মতো অন্যান্য ফিক্সড ইনকাম বিনিয়োগের তুলনায় আয় বেশি হয়।

advertisement

পেআউট – বিনিয়োগ করার এক মাস পর থেকে পেআউট শুরু হবে। তবে প্রতি মাসের শুরুতে নয়।

একাধিক অ্যাকাউন্ট – একজন বিনিয়োগকারী নিজের নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। তবে সিঙ্গল অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ ৯ লাখ এবং জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে ১৫ লাখের বেশি করা যাবে না।

এমআইএস-এর সুদ সরাসরি পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা হয়। অ্যাকাউন্ট হোল্ডার প্রতি মাসে সেখান থেকে টাকা তুলে নিতে পারেন। সুদের টাকা এসআইপি-তে বিনিয়োগ করা যায়। এটা লাভজনক বিকল্প।

তবে, যে কোনও বিনিয়োগ প্রকল্পের সুবিধা এবং অসুবিধা দুই দিকই থাকে, এই প্রকল্পেরও আছে নির্দিষ্ট কিছু অসুবিধা, বিনিয়োগের পূর্বে যা খেয়াল না রাখলেই নয়-

করছাড়- ৮০সি ধারার অধীনে সরকারের এই প্রকল্পে করছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায় না, অর্থাৎ এই প্রকল্পের আয় ডিডাক্ট করা যাবে না।

মাসিক পেআউট- মাসিক পেআউটগুলি নিষ্ক্রিয় থাকে এবং যদি সেগুলি না তোলা হয় তবে কোনও সুদ তৈরি হয় না।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

কর- টিডিএস প্রযুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও উপার্জিত সুদ করযোগ্য।

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিমে টাকা খাটাচ্ছেন? সবার আগে মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলো
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল