ব্যাঙ্ক এফডি ল্যাডারিং কী: ব্যাঙ্ক এফডি ল্যাডারিং এক ধরনের কৌশল। বিভিন্ন মেয়াদে একাধিক ফিক্সড ডিপোজিট করতে হয়। যাঁরা দীর্ঘ সময়ের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট করতে চান, তাঁদের এই পদ্ধতিতে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: LIC-র এই সেরা পলিসিগুলো সম্পর্কে জানেন? ভবিষ্যতে টাকা নিয়ে আর চিন্তা থাকবে না
এফডি ল্যাডারিং সম্পর্কে যা জানতে হবে: মোট পরিমাণকে তিন বা চার ভাগে ভাগ করে ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়। প্রত্যেক ভাগে বিনিয়োগের পরিমাণ এবং মেয়াদ ভিন্ন। এটা বিনিয়োগকারী তাঁর লক্ষ্য অনুযায়ী নিজেই ঠিক করতে পারেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বর্তমানে পোস্ট অফিসের কোন স্কিম সবচেয়ে বেশি রিটার্ন দিচ্ছে ? টাকা জমা রাখার আগে জেনে নিন
একটা উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। ধরা যাক, কেউ ৫ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করাতে চান। এখন তিনি একবারে পুরো টাকা বিনিয়োগ না করে ল্যাডারিং কৌশল মেনে ১ লক্ষ টাকার ৫টা এফডি করবেন। মেয়াদ হবে ১,২,৩,৪ এবং ৫ বছর। প্রথম ফিক্সড ডিপোজিট যখন ১ বছরে ম্যাচিওর করবে তখন সুদ সহ যে রিটার্ন আসবে সেটা আবার চার বছরের জন্য বিনিয়োগ করবেন। ২ বছরে যেটা ম্যাচিওর করছে সেটা আবার ৩ বছরের জন্য পুনরায় বিনিয়োগ। এভাবে প্রতি বছর একটা করে এফডি ম্যাচিওর করবে এবং সেটা ফের বিনিয়োগ করতে হবে। এভাবে পাঁচ বছর বিনিয়োগ চলতে থাকবে।
এতে একলপ্তে ৫ লাখ বিনিয়োগ করলে যে রিটার্ন মিলত, তার থেকে অনেক বেশি টাকা পাওয়া যাবে। কারণ প্রতি বছর ফিক্সড ডিপোজিট ম্যাচিওর করলে তার সুদটাও ফের বিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করা যাচ্ছে। এটাই ‘এফডি ল্যাডারিং’-এর সুবিধা। এতে জমা টাকা নিরাপদে তো থাকছেই, সুদটাকেও ফের বিনিয়োগ করা যাচ্ছে। ফলে সাধারণ ফিক্সড ডিপোজিটের তুলনায় রিটার্ন আসছে অনেক বেশি।
News18 Bangla এবার Whatsapp-এ, এক ক্লিকেই খবরের আপডেট জানতে সাবস্ক্রাইব করুন- https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F