স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী -
সম্পত্তিতে দুই ধরনের মূলধন লাভ আছে। স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী। সম্পত্তি ক্রয়ের ২ বছরের মধ্যে সম্পত্তি বিক্রি থেকে প্রাপ্ত স্বল্পমেয়াদী মূলধন লাভের আওতায় আসে। অন্য দিকে, যদি সম্পত্তি অধিগ্রহণের ২ বছর পরে বিক্রি করা হয়, তবে তাকে দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভ বলা হয়।
আরও পড়ুন: দিনে কাজ করুন মাত্র ১ ঘন্টা! তাতেই যা আয় হবে, বাকি সময় পায়ের ওপরে পা তুলে কাটবে!
advertisement
কীভাবে এতে ট্যাক্স ধার্য হয় -
দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভে, করদাতাকে ২০% মূলধন লাভ কর হিসাবে দিতে হবে। যেখানে স্বল্পমেয়াদী লাভ করদাতার মোট আয়ের মধ্যে গণনা করা হয়। র্থাৎ, ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স করদাতার আয়ের ট্যাক্স স্ল্যাব অনুযায়ী ধার্য করা হবে।
কীভাবে তা গণনা করতে হয় -
কর পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ক্লিয়ারের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা অর্চিত গুপ্ত বলেছেন যে উভয় ক্ষেত্রেই করের হিসাব আলাদা হবে। এক নজরে দেখে নেোয়া যাক সেই হিসাব।
আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসে যাবেন কেন, ঘরে বসেই অনলাইনে খুলে নিন রেকারিং ডিপোজিট
- স্বল্পমেয়াদী মূলধন লাভ= চূড়ান্ত বিক্রয় মূল্য - (অধিগ্রহণের ব্যয় + বাড়িটি উন্নত করতে ব্যয় করা পরিমাণ + বিক্রয় সম্পূর্ণ করার জন্য ব্যয় করা পরিমাণ)।
- দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভ= চূড়ান্ত বিক্রয় মূল্য - (অধিগ্রহণের সূচীকৃত খরচ + বাড়ি আপগ্রেড করার সূচীকৃত খরচ + বিক্রয় সম্পূর্ণ করার জন্য ব্যয় করা পরিমাণ)।
সূচক মূল্য কী -
খরচ মূল্যস্ফীতি সূচক প্রতি বছর প্রকাশিত হয়। এটি আয়কর বিভাগ দ্বারা জারি করা হয়। টি বেশ কয়েক বছর আগে একটি সম্পত্তি অধিগ্রহণের খরচ গণনা করতে ব্যবহৃত হয়। এর সূত্র হল- অধিগ্রহণের সূচক খরচ = অধিগ্রহণের খরচ * CII (যে বছর বাড়িটি বিক্রি হয়েছিল) / CII (যে বছর বাড়িটি কেনা হয়েছিল)।
কীভাবে ট্যাক্স বাঁচাতে হয় -
পুরনো সম্পত্তি বিক্রি করার পর, করদাতা যদি সেই টাকা নতুন সম্পত্তি কিনতে ব্যবহার করেন, তাহলে তাঁকে ট্যাক্স দিতে হবে না। এছাড়াও, তিনি NHAI এবং RECL-এর তিন বছরের বন্ডে বিনিয়োগ করে কর বাঁচাতে পারেন। তবে, এই ছাড় শুধুমাত্র ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্তই হবে। এছাড়াও করদাতা ঋণ পরিশোধ এবং নির্মাণ খরচে ছাড় পেতে পারেন।