মাটিতে রসের অভাব হলে একটা জলসেচ দিয়ে নিতে হয়। এই পাট শুরুর সময় থেকে শেষ সময় পর্যন্ত একজন কৃষককে মুনাফার মুখ দেখাতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় পাট গাছ শাঁক হিসেবে বাজারে বিক্রি করা যেতে পারে। পরবর্তী সময়ে পাট গাছ বড় হলে সেটার আঁশ এবং পাট কাঠি বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকে।
advertisement
কোচবিহারের এক পাট চাষী দেবদুলাল মন্ডল জানাচ্ছেন, "পাট চাষের জমি হিসেবে সামান্য ক্ষারযুক্ত যে-কোনও মাটিতেই পাট চাষ করা যায়। তবে ভাল ফলন ও উন্নত জাতের আঁশ পাওয়ার জন্য পলিযুক্ত উর্বর মাটি সবচেয়ে ভাল। তবে কাদা দোআঁশ মাটি ও বেলে দোআঁশ মাটিতেও পাট চাষ করা যায়।
সাধারণত উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমিতে মিঠা পাট এবং উঁচু ও নীচু দু’রকম জমিতেই তিতা পাট চাষ করা যায়। পাটের ফলন ভালো পেতে সঠিক সময়ে জমিতে সঠিক পরিমাণে সার প্রয়োগ করতে হবে। মূল সার হিসাবে ইউরিয়া সার না প্রয়োগ করে সম্পূর্ণ ফসফেট ও অর্ধেক পটাশ সার এবং চাপান হিসাবে মোট নাইট্রোজেন সারের অর্ধেক এবং বাকি পটাশ সার ২ ভাগে বীজ বোনার ১৫ দিন ও ৩৫-৪০ দিন পর দিতে হবে। তবে মাটি পরিক্ষা করে সার প্রয়োগ করা ভাল।"
আরও পড়ুন: এই বছর থেকে বেতনে কত ট্যাক্স কাটবে? জেনে নিন নতুন নিয়ম
এছাড়া আরেক পাট চাষী রজনী অধিকারী জানাচ্ছেন, "পাট গাছের আসে পাশে আগাছা জন্মাতে দেওয়া যাবে না। আগাছা যেন না জন্মায় তার জন্য সময়মতো সঠিক পরিমাণে আগাছা নাশক জমিতে প্রয়োগ করতে হবে । সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে বিঘা প্রতি ৪ ব্যারেল জল বা ৬০ লিটার জলে আগাছানাশক ঔষধ ভালো করে মিশিয়ে ভেজা আর্দ্র জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।" তবে এই পাট চাষ করতে বিঘা প্রতি খরচের পরিমাণ থাকে আনুমানিক ৬০০০ টাকার মতন। তবে বিঘা প্রতি লাভের পরিমাণ দ্বিগুণ পাওয়া সম্ভব।
Sarthak Pandit





