এলআইসি কী?
ভারতীয় জীবন বিমা নিগম বা এলআইসি ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকার পোষিত এই সংস্থার বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা ২৫ কোটির কাছাকাছি। সংস্থার অধীনে রয়েছেন প্রায় দেড় লক্ষ এজেন্ট, অংশীদার এবং অনলাইন বিক্রয় প্রকরণ। যদিও সরকারি নীতি পরিবর্তনের পরে এই সংস্থার ৬০ শতাংশ শেয়ার এখন বাজারে খাটানো হয়। এনডাওমেন্ট বেসড্ পলিসি, ইউলিপ, টার্ম ইনস্যুরেন্স, মানি ব্যাক স্কিম, পেনশন প্ল্যান-সহ নানা ধরনের প্রকল্প রয়েছে এর অধীনে।
advertisement
আরও পড়ুন: ১ লাখে কত সুদ মিলবে? টাকা ব্যাঙ্কে রাখবেন না পোস্ট অফিসে, খতিয়ে দেখে নিন সব দিক!
‘ক্লেম সেটলমেন্ট’ বা গ্রাহকের দাবি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রেও এই সংস্থার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে, সংস্থাটির সিএসআর রিপোর্ট ৯৮.৬২ শতাংশ। অর্থাৎ, মৃত্যু এবং অন্য দাবি নিষ্পত্তিতে বিমাকারীর ভরসার জায়গা অত্যন্ত বেশি।
বিনিয়োগে বিমা:
যদি কোনও ব্যক্তি তাঁর বিনিয়োগে উচ্চ রিটার্ন পেতে চান, তাহলে হয়তো এলআইসি খুব একটা ভাল উপায় নাও হতে পারে। কারণ সাধারণত এনডাওমেন্ট পলিসিগুলিতে মাত্র ৪-৫ শতাংশ অভ্যন্তরীণ সুদ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: PAN কি ইনঅ্যাক্টিভ হয়ে গিয়েছে? জানবেন কীভাবে, নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলেই বা কী করবেন
সেক্ষেত্রে এলআইসি-র ইউলিপ-এর কথা ভাবা যেতে পারে। এগুলি বিমা এবং বিনিয়োগ উভয়ের সুবিধা দেয়৷ স্টক, বন্ড এবং মিউচুয়াল ফান্ডের মতো ঐতিহ্যবাহী বিনিয়োগে ভাল আয় করা যেতে পারে যদি ঝুঁকি নেওয়া উচ্চ থেকে মাঝারি মানের হয়।
কম ঝুঁকিতে ভাল রিটার্নের জন্য বিমাতে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। তবে এলআইসি-র নীতি দেখে নেওয়া প্রয়োজন।
এলআইসি-র সুবিধা:
১. এটি এখনও সরকারি মালিকানাধীন একটি সংস্থা, যাতে ভারত সরকারের ‘সভরেইন গ্যারান্টি’ থাকে।
২. আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় প্রিমিয়ামের পরিমাণের উপর করছাড়ের সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। বেনিফিটের উপরও ১০(১০ডি) ধারায় আয়কর ছাড় মিলতে পারে।
৩. এলআইসি তার গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত প্রিমিয়ামের বেশিরভাগটাই সরকারি খাতে বিনিয়োগ করে। অর্জিত মুনাফা থেকে অতিরিক্ত উপার্জন হলে, শতাংশের হিসেবে গ্রাহকদেরও ‘বোনাস’ দেওয়া হয়।
৪. জীবন বিমায় বিনিয়োগ করলে কোনও ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল সদস্যরা আর্থিকভাবে রক্ষা পেতে পারেন, যদি গ্রাহকের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ঘটে।
এলআইসি-র অসুবিধা:
এলআইসি-তে বিনিয়োগের সব থেকে বড় অসুবিধা হল, এটি বাজারের অন্য যে কোনও পলিসির থেকে কম রিটার্ন দেয়। মেয়াদ শেষে কোনও ব্যক্তি যে পরিমাণ রিটার্ন পাবেন, তার থেকে অনেক বেশি রিটার্ন তিনি পেতে পারেন পিপিএফ বা ফিক্সড ডিপোজিট থেকে।