অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সোনায় অর্থ বিনিয়োগকে বরাবরই দীর্ঘমেয়াদী এবং নিরাপদ লগ্নির অন্যতম উপযুক্ত বিকল্প হিসেবে গণ্য করা হয়। এর কারণ সোনায় বিনিয়োগে ক্ষতির সম্ভাবনা খুবই কম থাকে এবং নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়া যায়। এছাড়া, সোনা ইনভেস্টমেন্ট পোর্টফোলিওর অন্যান্য ক্ষেত্রের ক্ষতির ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। মুদ্রাস্ফীতি, ঝুঁকি এবং মুদ্রার অবমূল্যায়ন সহ অন্যান্য বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে সোনায় বিনিয়োগকে সবসময় ভালো বিকল্প মনে করেন লগ্নিকারীরা।
advertisement
গোল্ড ইটিএফ কেনার অর্থ হল বিনিয়োগকারী ভার্চুয়াল বা ইলেকট্রনিক ফর্মে সোনা ক্রয় করছে এবং এই সোনা তার ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে জমা থাকছে। ইন্ডাস্ট্রি বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি একক গোল্ড ইটিএফ প্রতি আসল গোল্ড সঞ্চিত রাখে বিক্রেতারা। অর্থাৎ, কোনও বিনিয়োগকারী ১০ একক ভার্চুয়াল সোনা কিনলে তার জন্য একই পরিমাণ আসল সোনা রাখা হয়।
আরও পড়ুন: বিরাট খবর, বাড়ছে FD সুদের হার! কীভাবে বিনিয়োগ করলে পাওয়া যাবে সবেচেয়ে বেশি রিটার্ন?
আইসিআইসিআই প্রুডেনশিয়াল এএমসি-এর প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট এবং স্ট্র্যাটেজি প্রধান চিন্তন হারিয়া ইলেকট্রনের সোনার বিষয়ে বলেছেন, “যেহেতু গোল্ড ইটিএফ স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত থাকে তাই ইক্যুইটি স্টকের মতো বিনিয়োগকারী ভার্চুয়াল গোল্ডকে যে কোনও সময় ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে।”
আরও পড়ুন: সোনা থেকে শেয়ার! এই সম্পত্তিগুলি জমা রেখে পাওয়া যায় লোন? দেখে নিন তালিকা
উল্লেখ্য, গোল্ড ইটিএফে বিনিয়োগ করার অতিরিক্ত খরচের পরিমাণ আসল সোনায় লগ্নির তুলনায় অনেক কম কারণ এই ক্ষেত্রে মেকিং চার্জ অর্থাৎ স্বর্ণকারদের কোনও টাকা প্রদান করতে হয় না। হারিয়া ব্যাখ্য দিয়ে বলেন, “গোল্ড ETF-এর ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের সোনার মান বা সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন হয় না। ভার্চুয়াল সোনা কেনার করার সময় লগ্নিকারির কাছে বিনিয়গের একাধিক বিকল্প থাকে। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (এসআইপি) বা একসঙ্গে সম্পূর্ণ টাকা দিয়ে গোল্ড ইটিএফ ক্রয় করা যায়।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, গোল্ড ইটিএফ-এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল বিনিয়োগকারী সময় অপচয় না করে সহজেই সোনায় বিনিয়োগের সুবিধা নিতে পারে।