একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্র সরকার এবার রেল বাজেট ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। অর্থ মন্ত্রকের কাছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ তহবিল বৃদ্ধির দাবি করেছিল রেলওয়ে বোর্ড। সেই অনুযায়ী সরকার বাজেটে রেল মন্ত্রককে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন রুপির তহবিল দিতে পারে।
আরও পড়ুন: গত বছরের প্রতিশ্রুতি কি পূরণ হয়েছে? বাজেটের আগে দেখে নেওয়া যাক পুঙ্খানুপুঙ্খ!
advertisement
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। শুধু লোকসভা ভোট নয়, এবছর রাজস্থান, ছত্তিসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, তেলঙ্গানা, ত্রিপুরা, মেঘালয়, উত্তর-পূর্বে নাগাল্যান্ড, মিজোরামের মতো মোট ১০টি বড় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। সেদিকে নজর রেখে এবার রেল যাত্রীদের জন্য একাধিক নতুন সুবিধা ঘোষণা হতে পারে বাজেটে।
প্রতিদিন রেলে কোটি কোটি মানুষ যাত্রা করেন। ভারতীয় রেলওয়েকে আলাদা রাষ্ট্র বললেও অত্যুক্তি হয় না। ফলে রেলের বাজেট নিয়ে আলাদা আগ্রহ থাকেই। রেলের উপার্জনও বিপুল। যদিও করোনাকালে সেই রোজগারে থাবা বসে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভর্তুকিও রয়েছে। আবার করোনা মহামারীর আগে প্রবীণ নাগরিকরা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পেতেন। বর্তমানে সেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সরকার সেই ছাড় ফেরাবে কি না, সেই নিয়েও জল্পনা চলছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি, সোনার দামে কি মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দেবেন নির্মলা?বিশেষজ্ঞরা বলছেন উল্টো
২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ব্রডগেজ লাইনকে সম্পূর্ণরূপে বিদ্যুতায়িত করার পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় রেল। সংবাদসংস্থা আইএএনএস-এর একটি প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ‘গ্রিন রেল সার্ভিস’-এর লক্ষ্যে এ বছরের মধ্যে টায়ার ২ এবং টায়ার ১ শহরে মেট্রো রেল চালুর লক্ষ্যেও পুরোদমে কাজ চলছে।
যাই হোক, কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক আগের আর্থিক বছরের তুলনায় ৪২,৩৭০ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব লাভ করেছে। রেলওয়ের লাভ বেড়েছে ৭১ শতাংশ। যেখানে ২০২১ সালের আগে ভারতীয় রেলের ২৬,৩৩৮ কোটি টাকা লোকসান হয়েছিল।